পাতা:অনাথ আশ্রম - ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ.pdf/৪৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্বশুর। তোমার মুখ দেখাইবার প্রয়োজন নাই। তোমাকে মুখ দেখাইতে হইবে বলিয়া | বলিল, “আমার কন্যার কন্যা । আজীবন তোমার। ধলনার তাঁর হইতে আনি নাই। অসুর্য্যাম্পশ্য | কাজেই ইচ্ছা । করিব বলিয়া ঘরে পুরিয়াছি। জামাতা । আমার পিতা বড় দুঃখ করা- ነ• বেন । আমি তঁার একমাত্র সন্তান। বহুদিন পিতার মর্য্যাদা রাখি নাই, আজ রাখিব। শাস্ত্রণ | মতে কন্যাকালে কন্যাকে সৎপাত্রে ন্যস্ত করিব, অরক্ষণীয়া করিব না । শ্বশুর। যে ব্যক্তি দশম বৰ্ষীয়া শিশুকে বিবাহ করিতে পারে, সে কখনই সৎ হইতে পারে না, । সে পামির, নরাধম, পশু । আমি সেই পশুর হস্তে কাননিকাকে সমৰ্পণ করিব ?-কখনই করিব । না। মূৰ্খ! আমার আদরের নাতিনী অরক্ষণীয়া রহিবে ? আমি নিজে রক্ষা করিব -যাবজ্জীবন বঁচিয়া থাকিব, আমি নিজে তাহাকে রক্ষা করিব। কথা কহিতে কহিতে দুই পাচ কথার সহায়- | তায় বিবাদ-সমীরণ প্রভঞ্জন মূর্ত্তি ধারণ করিল। চারি দিক হইতে নিরঞ্জনের কন্যা, নাতিনী প্রনাতিনীগণ ব্যাপার কি দেখিতে ঝড়ে পড়িয়া যেন উড়িয়া আসিল । নরোত্তম দূর হইতে দেখি লেন, যেন বিরাটের গোগৃহ অধিকার কালে । গোধন পরিবেষ্টিত ভীষ্ম-বৃহন্নলার লড়াই বাধিয়াছে। কিন্তু মৎস্য দেশের বৃহন্নলা গদ্ধানন্দনকে পরাভূত করিয়াছিল, বাঙ্গালা দেশের বৃহন্নলা শ্বশ্র-মোহ নের তীব্র বচনে গায়ের জালায় মৎস্য-দেশে । ঝাঁপ দিল। নরোত্তম জলে হাবুডুবু খাইয়া ভাবিলেন, প্রাণান্তেও আর কাঁহাকে উপমায় ফেলিব না । । '...". . . . . . " " سد " . . . . - “. . ,夺f吋。 छूআিম করাঘাত করিয়া श्वठ्ठ } ५७ Y{ ধসময়ে বিবাহ } । ...' . . . . . . . . . . . . . . "s: ". . . .'; :۰۱۰ , . . :بی. ب " v. 2:; ' . ”.့် ̧င့. si, ༨ ,'.'. 201:8:0::::. . . دی۔ 'अभिांद्र क्छा' अभि डांश् १ ' ভূমে পদাঘাত করিয়া । সহিত আমার ক্রোধতরজিণীর প্রবাহ চলিবে, । তথাপি কাননিকার বিবাহ চলিবে না ’ । “আমার জন্মদাতা পিতা, । बॉशब्र डूला बद्ध আর পৃথিবীতে নাই, তঁহার কথা না। রাখিয়া । আপনার কথা রাখিতে হইবে ?” জামাতা এই “ । কথা বলিয়া একবার নবাগত ভামিনীমােণর মুখ- | পানে চাহিলেন। দেখিলেন, প্রাণাধিক ভামিনীর | মুখখানা যেন হাড়ির মতন হইয়াছে, পদ্মাপলাশ লোচনস্থ ভ্রমর দুটা সেই হাঁড়িতে বনৰনা করিয়া । ঘুরিতেছে। রমণীচরণ। হতভম্ব হইয়া ফেলফেল । করিয়া সেই “কি জানি কেমন কেমন” মুখখানির । পানে চাহিয়া রহিল। যখন চমক ভাঙ্গিল, তখন । দেখিল, পূজ্যপাদ শ্বশুর মহাশয় তাহার কেশ } কর্ষণ করিতেছেন, আর বলিতেছেন, “কি বলিলি রে পাষণ্ড, অকৃতজ্ঞ, নরাধম! উদ্বাহবন্ধনে আবদ্ধ করিয়া, এই বিশ্বজনীন প্রেম কাটিগড়ায় তোরে আসামী করিয়াছিলাম। বিনা ৷ জামিনে তোরে ছাড়িয়া দিয়া আমাকে শেষে । এই শুনিতে হইল। তোর বাবা আমা হইতে বড় হইল ? তুই কোথাকার কে ! ধলনাতীরের বানর! তোরে আমি কলিকাতায় আনিয়া আমার নয়নমণি ভামিনীকে সমৰ্পণ করিলাম, একবার। তোর পাত্রত্বের কথা ভাবিলাম না। সেই আমা হইতে তোর বাপ বড় হইল। ক্ষুদ্র আমি, হীন৷ আমি, কীটানুকীট। আমি তোরে কন্যা সমৰ্পণ। { করিলাম। কই তোর বরর বর বাপ তোরে । কন্যা সমর্পণ করিতে পারিল না ? তবে ধলন ।