পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* २१ অতু ক্রম তোমার মত কত মেয়ে যে আমাদের ধরতে হয়, তা আর তোমাকে কি বলবো ? তোমার পরম সেী ভাগ্য যে, এমন স্বামীর হাতে পড়েছিলে, এখন ভংলয় ভালয় ঘরে ফিরে যাও । বেশী চেচামেচি করে। না, তাহলে হাত-কড়ি দিয়ে তোমাকে হাজতে দিতে হবে । কাল সকালে হাকিমের সম্মুখে কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে । তোমার স্বামী অতি ভদ্রলোক, তার ইজং বাচাবার জন্যে তোমাকে ভালকথা বলছি । তোমাব স্বামী যখন তোমাকে নিয়ে যেতে চাইছেন, তখন ফিরে যাও । ” 4.4 হাজত ও হাতকড়ির কথা শুনিয়া মণি র্কা দিয়া ফেলিল । চোখের জলে তাহার বুক ভাসিয়া গেল । সে কাদিতে কঁাদিতে ইনস্পেক্টরকে বলিল, “ ধর্ম্মের দোহাই বলছি, বাবা, ৪ আমার কেউ নয়, ও কাশীর এক ট। বয়াটে ছেলে । আপনি আমাকে ওর হাতে ছেড়ে দেবেন না । ” ভারতবর্ষের ইংরাজ রাজার পুলিস সদ্যোসদ্য নিমকহারাম হয় না । ফণীর এক থানা এক শত টাকার নোট তখন ও নিমক স্বরূপ ইনস্পেক্টরের পকেটে বিরাজ করিতেছিল । তিনি মণিকে ধমক দিয়৷ বলিয়া উঠিলেন, “ চোপ মাগী । বেরিয়ে এসেছিস, স্বামী দয়া করে নিতে এসেছে, এখনও ছেনলিী ; তোকে হাত কড়ি লাগাডে হবে দেখছি । আমার নাম মৃত্যুঞ্জয় মিত্র, আমি এলাহাবাদ রেলের পুলিশের ইনস্পেক্টর; তোর মত হাজার হাজার ছেনাল থানকী আমার হাত দিয়ে পার হয়ে গেছে । আমার ত্রিশ বচ্ছর চাকরী হল, বোট, আমাকে ধর্ম্মের কাহিনী শোনাতে এসেছ । 'ণীবাবু, আপনি একখানা গাড়ী নিয়ে এসে মাগীকে নিয়ে যান, যদি সোজা কথায় না যায়, তাহলে হাতকড়ি লাগিয়ে হাজতে দিতে হবে । ”