পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অস্ত্রম ১৩ ? তারাপদ কবুকে দেখিয় ধীরেশ লজ্জায় অস্থির হইয়া উঠিল । যদিও সে জাৰিত যে, তাহার বিবাহের পত্রের কথা তখনও তারাপদ বাবুর কানে পৌছায় নাই । অল্পক্ষণ আগে দশাশ্বমেধ • বাজারের সম্মুখ দিয়া আসিবার সময়ে তাহার মনে হইয়ছিল যে, কাশীর বাঙ্গালীর বড় বড় জীবন্ত কাতলা মাছগুল বেশী দেরী করিলে সমস্তই কিনিয়া লঙ্কয়া যাইবে । বাল্যকাল হইতে ই পৈটিক প্রক্রিয়াটা প্রবল থাকায় ধীরেশ বেশীক্ষণ নব-বরের মত লাজুক থাকিতে পারিল না কিন্তু তারাপদ বাৰু তখন প্রথম আনন্দোৎসবের পরে ভাবে মগ্ন হইয়। গিয়াছেন । তিনি নিতাত ৪ মণিকে একসঙ্গে ফিরিতে দেখিয়া একমনে ভাবিতেছিলেন, মণি ত স্বামীর সঙ্গে ফিরিয়া আসিল কিন্তু সে যে ফণীর সঙ্গে কুলত্যাগ করিয়া গিয়াছিল ! তাঙ্গার স্তদুর অতীত যৌবনে তাহার জন্মভূমি শস্যখামল বঙ্গদেশের নদীয় জেলায় কুলত্যাগিনী কণ্ঠাকে কি- ভাবে আহবান করিত, তাহ। তিনি ভুলিয়া গিয়াছিলেন । পথে নম্নর দোকানে গরম ডালপুরা ভাঙ্গিতে ছিল । তাঙ্গার গন্ধের সহিত মি: সুধীরকুমার হালদারের কন্নু অপুপ ভাবে মিশিয়। গিয়৷ শ্রযুক্ত ধীরেশচন্দ্রৰ জিহবায়ু ও নাসিকায় বহুবিধ রস সঞ্চার করিয়া দিল । তারাপদ বাবুকে ভদবস্থ দেখিয়া মণি অপ্রস্তুত হইয়াছিল । সে হঠাৎ বলিয়া উঠিল, “ মামাবাবু— আজি আমরা এখানে থাকব ।” মণির শেষে র কথাটা কেবল তারাপদ বাবুর কানে পৌষ্ঠি ধাছিল । তিনি অন্যমনস্কভাবে বলিয়া উঠিলেন, “থাকুবি ? তাই ত ! বেশ ত ! এখানে থাকৃfব না ত কোথায় খাবি ? ”