পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w9\s অতুক্রেম ঘাও । আমার সঙ্গে আর কথা কইতে হবে না, বরং কাল দিনের বেলায় বাড়ীতে এসে । হারু-দা ধার-দ। আসবে। আমি এখন যাই ।” মণিমালিনী চলিয়া গেল, কাজে কাজেই অনুপমকে রিকশ’র কাছে ফিরিতে হইল। তালদার-সাহেব তাঙ্গর বিলঙ্গ দেখিয় রাগে ফুলিতেছিলেন। সে আসিলেই তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি হে, এত দেরী কেন ? ও মেয়েটি কে হে ?” —উনি এথানকার মেয়ে-স্কলের শিক্ষয়িত্রী, ওঁর নাম , শ্রীমতী মণিমালিনী মুখোপাধ্যায়, অনেকদিন পরে দেখা হল কি না ! —কতদিন পরে দেখা হল বাবাজী ? বাবাজী সম্বোধনটি অতৃপমের চাবুকের মত লাগিল । সে নিজেকে একটু সামলাইয়া লইয়া বলিল, “এই তিন-চার দিন পরে।" হালদার সাহেব বলিলেন, “ও ” ভাবী জামাতার সহিত হালদার সাহেব যখন স্ত্যানিটেরিয়ামে পৌছিলেন তখন র্তাহার গৃহিণী ও কন্যা সাজিয়া গুজিয়া বসিয়াছিলেন । অপ্রসন্ন মুখে হালদার সাহেব চা খাইতে বসিলেন । তাহার মুখ দেখিয়া স্ত্রী-কন্যার মুখও শুকাইয় গেল । চা খাওয়া শেষ হইলে অনুপমকে ললিতার কাছে রাখিয়া হালদার সাহেব গিন্নীর সঙ্গে একটু অন্তরালে সরিয়া গেলেন। তখন ললিত মুখ তুলিয়া বলিল, “বেশ সুন্দর তোড়াটি !" • প্রশংসাটা কিন্তু অনুপমের ভাল লাগিল না । সে বলিল, “ও আমাদের আপিসের মালি বাধে, রোজই আপিসের ফুল তুলে বাধে, ভালগুলো সাহেবদের দেয় আর খারাপগুলো এক "একদিন এক একজন কেরাণীর ভাগ্যে পড়ে ।” কথাটা সর্ব্বৈব মিথ্যা । অনুপম সেদিন মালিকে বকশিসের লোভ