পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অতুক্রেম ৩৭ দেখাইয়া ভাল তোড়া বাধাইয়া আনিয়াছিল । তাহার কথা শুনিয়া কিন্তু ললিতার মুখখানি ছোট হইয়া গেল । . সে তপ ও বলিল, “যে মালি রোজ এমন তোড়া বাপতে পারে সে তাপিসের মালি হবার দোগ্য নয় । সে উচ্চ পদ পেতে পারে।” অতৃপম ললিতার কথার জবাব না দিয়া বসিয় রশ্লি ল । পাশের ঘরে হালদার সাহেব তাতার গৃহিণীকে বলিতেছিলেন, “বেশী বিলম্ব হলে বিগৃড়ে দাড়াতে পারে। তখন আর কিছুতেই পোষ মানানে সাবে না । এষ্ট বেল! মা হয় করে ফেল ।” গৃহিণী বলিলেন, “এ কি ছেলেখেলা ! তবু আমি লজ্জার মাথ৷ খেলে ললিকে রোজ বলি। ছেলেমান্তম মেয়ে—কন্যাদায়ে পড়ে তুমি যতটা গায়ে-পড়া ততে বল, ততট কি মেয়েতে পারে ? ” —তুমি বুঝতে পারছ না। আজ আবার সেই মণিমালিনীর সঙ্গে রাস্তায় ওর দেখা হয়েছিল । তাকে ছেড়ে কোন মতেই আসতে চায় না । লোক পাঠিয়ে ডেকে পাঠাই, তবে তাসে । —সে মাগা দেখতে শুনতে তে| তেমন নয়, আর ললির পায়ের নথের যুগ্যি ও নয়, তবে ছেলেটি এমন করে কেন ? —সে কথায় কাজ নেই । একবার কোনও রকমে বাছাধনকে গেঁথে ফেলতে পারলে হয়, তারপর দেখে নেব । —সে রাজী হয়ে তোমার টোপ গিললে তবে তো গাঁথিবে । —নিশ্চয় গিলবে, না গেলে তো জোর করে গেলাতে হবে। —এ কি ছেলে-মেয়েকে দুধ খাওয়ানে যে, হাত-পা ধরে জোর করে গিলিয়ে দেবো | ' * —তুমি ললিকে ভাল করে বল না। —এর চাইতে বেশী বলা যায় না।