পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অতুত্রম & X কঠিন উত্তর দিতে যাইতেছিল, তাহা তাহার মুখেই রহিয়া গেল । ভাই-ঠাকুরও যেন সম্মুখে বিষধর সপ দেখিয়া চমকিয় দাড়াইলেন । মণি উঠিয়া গলায় কাপড় দিয়া ভাই-ঠাকুরকে প্রণাম করিল। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি-তুমি এখানে ?” * . মণি বলিল, “যখন বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন, তখন রোজগার করে খেতে বলেছিলেন, তাই এখানে এসে রোজগার করে খাচ্ছি।” অতৃপ্লম এতক্ষণ দুয়ারে দাড়াইয়াছিল, সে ভাই-ঠাকুরকে ঠেলিয়দিয়া ভিতরে আসিয়া মণিকে জিজ্ঞাসা করিল, “এ কে মণি-এ কে ?” মণি অবিচলিত স্বরে উত্তর দিল, “নেড়া-দা, ইনিই আমার স্বামী ।” >ミ ঠিক সেই সময়ে ধীরেন্দ্রচন্দ্রের বিপুল উদরে প্রচও ক্ষুধার উদ্রেক হওয়ায় সে শিকার খুজিতেছিল । হঠাৎ বাজারের মধ্যে তাহার সঙ্গে হালদার সাহেবের দেখা হইয়া গেল । হালদার সাহেব জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি ধীরেন বাবু, কোথায় যাওয়া হচ্ছে ?” ক্ষুধার উদ্রেক হইলে ধীরেনের মেজাজটা গরম থাকিত, সে মুখ ফিরাইয়া বলিয়া উঠিল, “আজ্ঞে, গরীব মানুষের আর কি কাজ থাকে, বলুন ? পেটের চেষ্টায় যাচ্ছি ।" হালদার সাহেব একটু আশ্চর্য্য হইয়া বলিলেন, “ধীরেন বাৰু, আপনি তো বেশ ভাল চাকরী করেন " | ধীরেন আরও চটিয়া বলিল, “চাকুরীতে কি পেট ভরে মশাই ? তার উপর মেসের বামুনের রান্না।” হালদার সাহেব সুচতুর ; তিনি বুঝিয়া লইলেন ব্যাপারটা কি । তিনি বলিলেন, “ও, নিমন্ত্রণে ঘাচ্ছেন বুঝি ?” :