পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(R ર অমুক্রেম ধীরেন অত্যন্ত চটিয়া বলিল, “আর কি সেকাল আছে মশায় ? সদব্রাহ্মণকে নিমন্ত্রণ করে কে ?" হালদার সাহেব বলিলেন, “এই ধরুন আমিই যদি করি ? “আপনি যদি এখন আমার বাসায় পদার্পণ করেন, তা হলে ভুরি-ভোজনে তৃপ্ত হবেন ।” ধীরেনের বিষম ক্রোধ জল হইয় গেল ; তখন তাহার ইচ্ছামত বাজারের থাবার কিনিয়া হালদার সাহেব তাহাকে সঙ্গে লইয়। স্থানিটেরিয়মে ফিরিলেন । ক্ষুধা শান্ত হইলে ধীরেনের মেজাজ বদলাইয়া গেল । সে নস্ত লইয়া পাণের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ কাশীর জর্দা মুখে পূরিয়া এবং হালদার সাহেবের একটা বর্ম্ম চুরুট ধরাইয়া একখান। ইজি চেয়ার দখল করিয়া বসিল ; কৃতজ্ঞতা-রসে তাহার দেড়হস্ত পরিমিত বক্ষ তখন আপ্লুত হইতেছিল। অবসর বুঝিয়া হালদার সাহেব বলিলেন, “এত খরচ-পত্র করে শিলংএ আসা গেল, কিন্তু মেয়েটার শরীর সারলে না। বর্ষাকাল হলেও শিলংএর স্বাস্থ্যটা এবার ভালই আছে, কিন্তু আমার অদৃষ্টের দোষে সমস্তই বৃথা হয়ে গেল।” ধীরেন জিজ্ঞাসা করিল, “কেন, কি হয়েছে ?” —একটু যদি বেড়াতে পেতে, তাহলে শরীরটা একটু একটু করে ভাল হতে পারতো, কিন্তু বেড়াতে সে একেবারেই পায় না । —কেন বেড়াতে তো যান | —যেতে । অনুপম বাবাজীবন যে ক'দিন নিয়ে যেতেন, সে ক’দিন বড় আনন্দেই বেড়াতে যেতে । বাছার আমার শরীরটাও একটু শুধরেছিল, গাল দুখানিতে যেন একটু রক্তও দেখা দিয়েছিল। —কেন, নেড় কি বেড়াতে নিয়ে যায় না আর ?