পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

登切ー অনুক্রম হারাণ তাহাকে বাধা দিয়া বলিয়া উঠিল, “কেয়া বোলা ! কুছ নেই বোলা ৷” মিসেস মজুমদার হারাণকে থামাইয়। বলিলেন, “বো-মা কি বলে দিয়েছেন, বলতেই দে না বাছ !" "নেপালী বালক ভরসা পাইয়া বলিল, “বহুম বোলা, মাইজী আউর উসকে চেলা বহুং ঝগড়া করত, বাবুজাকে জলদি ঘর লে আও।” হারাণ তাহার চাকরের কথা শুনিয়। উঠিয়া দাড়াইয়াছিল, তাহ। দেখিয়া মিসেস মজুমদার বলিলেন, “বো-মা তাদের কাও-কারখান। দেখে ভয় পেয়েছে হারু, তুই শীগগির বাড়ী ফিরে যা । ধারুকেও সঙ্গে নিয়ে যা । মা-ঠাকুরুণ আর তার চেলার যে পরিচয় বেরিয়ে পড়েছে, তাতে তার। আর এদেশে মুখ দেখাতে পারবে না। কালকেই বোধ হয় পালাবে । বেী-মা ছেলেমানুষ, তিনি এ জাতের ম-ঠাকুরুণ তো কখনো দেখেন নি, তাই ভয় পেয়েছেন । হিন্দু ধর্ম্মের নামে দেশে যে কত ব্যভিচার চলে যায়,তা আমি যে বুড়ো মানুষ,আমিই বুঝতে পারিনে, বো-মা তো ছেলে মানুষ ! তুই আর দেরী করিস নে হারু, উঠে পড়, ” হারাণ উঠিয়াই ছিল, সে ধীরেনের হাত ধরিয়া টানিতেই ধীরেন বলিয়া উঠিল, “আমি কেমন করে যাবে। মাসি-মা ! আমি যে হালদার সাহেবকে এক রকম বলেই এসেছি যে, নেড়াকে যেমন করে পারি আজ তার কাছে পৌছে দেব।" মিসেস মজুমদার বলিলেন, “তোর কথা রাখবার জন্য আমি নিজে নেড়াকে সঙ্গে করে নীচে নেমে যাব, তুই হারুর সঙ্গে যা।” ধীরেন ও হারু চলিয়া গেলে অনুপম হাফ ছাড়িয়া বাচিল । সে এক সঙ্গে মিসেস মজুমদারকে অনেকগুলি কথা বলিয়া ফেলিল। রুদ্ধ