পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসুত্রম 金芬 বর্ষার প্রবাহের মত তাহার মনের গোপন কথা গুলি মিসেস মজুমদারের সমস্ত বাধা-বিপত্তি ভাসাইয়া লইয় গেল । অনুপম বলিল যে, ক্ষিরি নাপ তিনীর চেল কখনই মণিমালিনীর স্বামী হইতে পারে না । দেশের সমাজের অথবা মণির আত্মীয়-স্বজনের ভূলে যদি মণিমালিনীর সহিৱ সে বন্দরের বিবাহই হইয়া থাকে, তাহ। ই চলে ৪ সেট বিবাহ নহে, সে বিবাহ অনেকদিন পূর্ব্বে অসিদ্ধ হইয়। গেছে। সে সে-বর্ব্বরকে কখনই মণির অঙ্গ স্পর্শ করিতে দিবে না, তাহা হইলে দেবতার অপমান হইবে । সে মণিকে লইয়া দূর দেশে চলিয়। যাইবে । মেথানে সে-বব্বর যাইতে পারিবে না, সমাজ-শাসন ও রাজার-শাসন মণিকে সেই বর্ব্বরের সহিত তাহাকে স্ত্রীরূপে বাস করিতে বাধ্য করিবে না, সে সেই দেশেই চলিয়। যাইবে । মিসেস মজুমদার স্থির হইয়া বসিয়া অনুপমের সমস্ত কথাই শুনিয়া গেলেন, কিন্তু অনুপমের মানসিক উত্তেজনা লক্ষ্য করিয়া তিনি তখন কোন তর্ক তুলিলেন না। অনুপম আপন-মনে বকিয়া যাইতে লাগিল । সে যেমন করিয়া পারে, মণির বিবাহের বন্ধন মুক্ত করিবে, সে মণিকে স্বাধীন করিয়া দিবে, তার পর মণির যাহা ইচ্ছা হয় তাহাই করিবে । সংসারের কণ্টকময় বনপথে সে মণির পদে কুশাঙ্করও বিধিতে দিবে না ! আপন-মনে অনেকক্ষণ ধরিয়া বকিয়| অমুপম যখন শ্রাস্ত হইয়া পড়িল, তখন মিসেস মজমদার বলিলেন, নেড়া, আজ আর ও-কথায় কােজ নেই। এখন চ, তোকে একবার হালদার সাহেবের কাছ থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসি। আমি বুড়ো মাতুয, কথা দিয়ে ফেলেছি বাব, আমাকে মিথ্যাবাদিনী করিসনে!” . মিসেস মজুমদার ধীরেনকে যাহা বলিয়াছিলেন, অতুপম তাহা