পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* . অমুক্রম হারাণের গৃহে প্রবেশ করিয়া অনুপম সম্মুখেই নিতাইমুন্দরকে দেখিতে পাইল । . তাহাকে দেখিয়া তাহার মাথার আগুন দ্বিগুণ জলিয়া উঠিল । সে নিতাইসুন্দরের সুদীর্ঘ কুঞ্চিত কেশ ধরিয়া বলিয়] উঠিল, “তুই যে এখনও যাস নি ?” তাহার মূর্ত্তি দেখিয়া নিতাই বলিয়া উঠিল, “এই যাচ্ছি বাবা।” “এখন ও ঘাসনি কেন ?" অনুপমের প্রবল টানে নিতাই চীংকার করিয়া উঠিল, “ও ক্ষীরীরে, মেরে ফেল্পে ।” আহবান শুনিয়া ক্ষীরোদ ছুটিয়া আসিতেছিল কিন্তু সে আসিয়া পৌছিবার পূর্বেই অনুপম মুক্ত দ্বার-পথে নিতাইমুন্দরের গৌরবর্ণ দেহ পদাঘাতে বাড়ির করিয়া দিল । নিতাই ও তাহার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষীরোদ সেই মুহূর্ত্তেই হারাণের গৃহ পরিত্যাগ করিল। ক্ষীরোদ তাহদের জিনিষ-পত্র গুছাইবার জন্য বাড়ীর ভিতরে আসিল বটে, কিন্তু কুল-পুঙ্গবের আর অনুপমের সম্মুখে আসিতে সাহস হইল না । এইরূপে হারাণের চরিত্র-সংশোধন নামক মহাকাব্যের পরিসমাপ্তি হইল । হারাণকে সমস্ত কথা বলিয়া অনুপম মনের ভার লাঘব করিল, বটে, কিন্তু সে নিজে শাস্ত হইতে পারিল না। হারাণ মণির কথা শুনিয়া অত্যন্ত দুঃখিত হইল ; কারণ, সত্য সতাই সে এই আশ্রয়-বিহীন! দরিদ্র। রমণীকে অত্যন্ত ভালবাসিত। তাহারা সকলেই জানিত যে, মণি অবিবাহিত ; হারাণ বা ধীরেন কোনদিন মণিকে দুষ্টচরিত্রা কল্পনাও করে নাই । তাহার দীন, দরিদ্রসেবা ও পরোপকার তাহাদিগের দুজনকেই মুগ্ধ করিয়াছিল । তাহার। মণিকে ছোট বোনের মতই ভালবাসিত । অনুপম প্রথম হইতেই ইহাদিগের দুইজনের সঙ্গে ছিল