পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমুক্রেম . ፃ¢ “তারাপদ বাবু তোমার কে হন ?" *আমার মামা • • •।” *তোমার নাম কি ভাই ?” “আমার নাম মণিমালিনী ।” এই সময় বীরবল নীচে আসিয়া ডাকি ল, “ঘর-ওয়ালী মাই ** ত্রিপুর দিদি বলিলেন, “উপরে আয়ন মুখ-পোড় !" সাদর সম্ভাষণে কৃতার্থ হইয়া বীরবল যখন উপরে আসিল, তখন সে দিদিকে দেখিয়া বিস্মিত হইয়া গেল। মণিকে পাইয়া ত্রিপুরা দিদি নানা প্রশ্ন করিতে আরম্ভ করিলেন । মণিও অনেকদিন পরে কথt কহিবার লোক পাইয়া বঁচিল । বীরবল দুই চার মিনিট দাড়াইয়া থাকিয়া চলিয় গেল, মণি দাড়াইয়া রহিল । ত্রিপুর দিদি যদি ওকালতী ব্যবসায় করিতেন তাহা হইলে তাহাতে র্তার প্রচুর অর্থাগম হইত। তিনি বিচক্ষণ উকিলের মত শওয়াল-জবাব করিয়া জানিবার চেষ্টা করিলেন, সাঁথার সিন্দুর লইয়া মণি কেন আসিয়াছে ! কিন্তু এ রকম ক্রশ-একুজামিনেশন দশ পনের বৎসর ধরিয়া সহ করিয়! আসিয়াছে বলিয়। মণি ধরা দিল না । মণি বলিল যে, সে অনাথ, তাহাকে অন্ন দিবার কেহ নাই—সেই জন্যই সে মাতুলের আশ্রয়ে আসিয়াছে। তাহার স্বামী কুলীন ; তাহার ধর্ম্মপত্নীর অভাব নাই, উপরন্তু অধর্ম্মপত্নী আছে । তিনি মণিকে গ্রহণ করেন না ; তাহার মাতুলের কেহ নাই । তাহার স্ত্রী, পুত্র, কন্য, জামাতা, পুত্রবধূ সমস্তই ছিল ; কিন্তু একে-একে তারা, পরিত্যাগ করিয়া গেলে তিনি কাশীবাস করিয়াছেন। তাহার মাতুল আহুষ্ঠানিক ধর্ম্ম বা ক্রিয়া কর্ম্মে বিশ্বাস করেন না, সেই জন্যই তিনি কাশীবাস করিয়া দেবদর্শনে যান না । ত্রিপুর দিদিকে কতক পরিমাণে সন্তুষ্ট করিয়া মণি যখন আঙ্গিন।