পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমুক্রেম १* হালদার সাহেব চুরুটের ধূমউদিগরণ করিয়া বলিলেন “বাবাজী ঘেভাবে চলছিলেন তাতে এ ব্যাপারট যে ঘটবে, তা আমি অনেক দিন আগেই বুঝেছিলাম। আপনাদের শিলং সহরের মাসি-ম অনুপম বাবাজীর অধঃপতনের জন্য সম্পূর্ণ দায়ী। কলকাতার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে—পায়রা দুটিকে এক সঙ্গেই পাওয়া যাবে। বেশী কিছু চিন্তা করবার কারণ নেই, কারণ ঠাকুরুণটি শুনছি সধবা, সুতরাং বাবাজী বেশী গোলমাল করলে শ্রীধর যেতে হবে।” ডেপুটি সাহেবের আশ্বাস পাইয়া হারাণ এতট স্বস্থ হইল যে, সে স্যানিটেরিয়ামের বসিবার ছোট ঘরটি ছাড়িয়া বাহিরে চলিয়া গেল । ধীরেন অন্যমনস্ক হইয়া চেয়ারে বসিয়া পড়িল । এই সময় একখান তার আসিয়৷ উপস্থিত হইল, তাহা পড়িয়া প্রথমে হালদার সাহেবের মুখখান উজ্জ্বল হইয়া উঠিল বটে কিন্তু তাহার পরেই শুকাইয়া গেল । তার দেখিয়া হারাণ আবার বসিবার ঘরে অসিয়াছিল, মিষ্টার ঠাল দীর তারখানা ধীরেনের হাতে দিলেন, সে পড়িল,— “Anupom returned home no anxiety refuscs marriage --Govinda” “অমুপম বাড়ী ফিরিয়াছে, উদ্বেগের কারণ নাই, বিবাহ করিতে চাহে না –গোবিন্দ ।” তারের কথা শুনিয়া হারাণ বলিয়া ফেলিল, “সকল পায়রা বোধ হয় এক রকমের নয়।” বলিয়াই সে বাহিরে চলিয়া গেল, হালদার সাহেব তাহার দিকে কটুমট করিয়া চাহিয়া রহিলেন । মনের আনন্দে জঠর-যন্ত্রণা বিস্মৃত হইয়া ধীরেন বলিয়া উঠিল, মাসি-মাও বড় চিন্তিত আছেন, খবরটা তাকে দিয়ে আসি । এই কথাটা বলিয়া ধীরেন জন্মের মত হালদার সাহেবের শ্রদ্ধা প্রীতি এবং মিষ্টাম্নের সম্ভাবনা হারাইল, কিন্তু সে কথা তখন সে বুঝিতে পারিল