পাতা:অনুবর্তন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*s অনুমাির্জন নতুন টিচার পকেট হইতে একটা কাগজ বাহির করিলেন। গলা ঝাড়িয়া বলিলেন-স্তার, আপনি এবার কি কিছু দেবেন না। আমাদের মাইনে ? --তোমায় তো সব দেখিয়েছি মিঃ দত্ত। স্কুলের আর্থিক অবস্থা তুমি আর মিঃ আলম জানো-আর জানে নারাণবাবু। বেশি লোককে বলে কোনো লাভ নেই। স্কুলকে বঁচিয়ে রাখবার চেষ্টা করছি প্রাণপণে । বাড়ীওলা নালিশ করবে। শাসিয়েছিল-তার টাকা পাচ শো দিতে হয়েছে। মিস। সিবসনকে দেড় শো টাকা দিতে হবে, উনি দাৰ্জিলিং যাচ্ছেন্ন-কিন্তু তার মধ্যে মোটে পাঁচাত্তর দিতে পারছি- আমি এক পয়সা নিৰ্দিছ নে-এ আমাদের ঐাগলের বছর, এ বছর যদি সামলে উঠি-সামনের বছরে হয় তো সুদিন আসবে। সকলকেই স্বার্থত্যাগ করতে হবে, কষ্ট স্বীকার করতে হবে। এ বছরটাতে। বুঝলে না ? -হ্যা, স্থার । --তুমি কিছু চাও? কত দূরকার বলে--না স্যার। আমি একরকম ম্যানেজ করে নেবো। ধন্যবাদ শুষ্ঠার। এই ক’জনকে কিছু কিছু দিতেই হবে, যে করে হোক ম্যানেজ করুন । নতুন টিচার হাতের কাগজ দেখিয়া বলিতে লাগিলেন-ক্ষেত্রবাৰু কুড়ি টাকা-জ্যোতির্বিবনোদ পনেরো টাকা, শ্রীশবাবু আঠারো টাকা, হেড পণ্ডিত जनी धैांक-वश्वांबू कूख्रि সাহেব কুইনাইন সেবনের পরের অবস্থার মত মুখখানা করিয়া বলিলেনও, দিজ আর দি ট্রাবল মেকারস --না স্কার, এদের না হোলে চলবে না। এদের অবস্থা সত্যিই খারাপপ্রত্যেকেরই বিশেষ বিশেষ দরকার আছে। জ্যোতির্বিবনোদের বাড়ী পৈতৃক পুজো-তাকে বাড়ী যেতে হবে, ভাড়া চাই। ক্ষেত্রবাবুৱা আৰশুক আমি ঠিক জানিনে-তবে তারও দরকার জরুরী। হেড পণ্ডিত পুজো করতে যাবে দক্ষিণে শিস্যবাড়ী, কাপড় চোপড় নেই, কিনবে। যদুবাবু --দি কানিং ওল্ড ফক্স-যদুবাবুর স্ত্রী আজ তিন চার মাস পড়ে আছেন জাতির বাড়ী, তাদের