পাতা:অনুবর্তন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS অনুবর্তন পেশ করিবার সময় অর্থসচিব যত না বাগিতা দেখান, তদপেক্ষা বাগিতা দেখাইয়া থাকেন । তিনি বর্ত্তমানে চেয়ার ছাড়িয়া উঠিয়া টাই ধরিয়া কখনও দক্ষিণে কখনও বামে হেলিয়া গম্ভীর সুরে আরম্ভ করিলেন-টিচাস, আজি আপনাদের ডেকেছি কেন, এখনি বুঝবেন। আমরা এখানে কতকগুলি তরুণ আত্মার উন্নতির জন্যে দায়ী (বড় বড় কথা বলিতে ক্লার্কওয়েল সাহেব খুব ভালবাসেন), আমরা শুধু মাহিনী নিয়ে ছেলেদের ইংরাজি শেখাতে আসিনি, আমরা এসেছি দেশের ভবিষ্যৎ আশার স্থল বালকদের সত্যিকার মানুষ করে তুলতে। আমরা তাদের সময়নিষ্ঠা শেখাবো, কর্ত্তব্যনিষ্ঠা শেখাবেYYD SYK S SDDBBBLLDL BBBDB DDYY S BBBDDS DDD DBD S S DDBBDBBD DLDL নিয়ে নিজেদের জীবন সার্থক করে তুলতে পারবে, সেই সঙ্গে দেশেরও শ্রীবৃদ্ধি হবে। দু-একজন শিক্ষক বলিলেন-ঠিক কথা, ঠিক কথা । -এখন দেখুন, যদি আমরাই তাদের সময়নিষ্ঠা ও কর্ত্তব্যানুরাগ না। শিখিয়ে ফাকি দিতে শেখাই, যদি আমরা নিজেরা নিজেদের কর্ত্তব্য কাজে অবহেলা করি, তবে সে যে কত বড় অপরাধ, তা ধারণা কক্সবার ক্ষমতা আমাদের মধ্যে অনেকের নেই দেখা যাচ্ছে। শিক্ষকতা শুধু পেটের ভাতের জন্যে চাকরী করা নয়, শিক্ষকতা একটা গুরুতর দায়িত্ব, এই জ্ঞান যাদের না থাকে, তারা শিক্ষক, এই মহৎ নামের উপযুক্ত নয়। দু-চারজন শিক্ষক মুখ চাওয়াচাওয়ি করিলেন। -আমি জানি, এখানে এমন শিক্ষক আছেন, যাদের মন নেই তাদের কাজে। তাদের প্রতি আমার বলবার একটিমাত্র কথা আছে। মাই গেট ইজ ওপন-তারা দিব্যি তার মধ্যে দিয়ে হেঁটে বেরিয়ে চলে যেতে পারেন, কেউ তাদের বাধা দেবে না । হেড মাষ্টার কাটুমটু করিয়া যদুবাবু, থার্ড পণ্ডিত ও হেড পণ্ডিতের দিকে চাহিলেন । -আজিকার ঘটনাই বলি। আপনাদের মধ্যে কোন একজন শিক্ষক আজ অ্যাপিসে ঘড়ি দেখতে পাঠিয়েছিলেন একটি ছেলেকে । তিনি যে কত বড়।