পাতা:অনুবর্তন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুবর্তন - “ እ8ዓ জ্যোতির্বিনোদ বলিলেন-খোকার অন্নপ্রাশন দেবে কৰে ক্ষেত্রবাৰু ? আর অন্নপ্রাশন ! খেতে পাইনে তার অন্নপ্রাশন। বাসা-খরচ চলে না, বাসাঙ্গাড়া আজ তিন মাস বাকি । w -আমার কথা যদি শোনেন, তবে অবাক হয়ে যাবেন । স্কুলের ঘরে থাকি, ঘর-ভাড়া লাগে না, তাই রক্ষে । আজ ছ। মাস বাড়ীতে পাচটা করে টাকা মাসে, তাও পাঠাতে পারিনে। পাঁচিশ ছিল, "হোল বাইশ । এখানেই বা কি খাই, বাড়ীতেই বা কি দিই ? যদুবাবু বলিলেন,-আমার ভাবনা কিসের শুনবে ? বৌটাকে এক জ্ঞাতিশরিকের বাড়ী ফেলে রেখেছি দেশে। সেখানে তার কষ্ট্রের সীমা নেই। কতবার লিখেছে, কিন্তু আনি কোথায় বলে। বত্রিশ থেকে আটাশ হোল। মেসে খাই, তাই কুলোয় না। শরৎবাবু বলিলেন-কোথাও চলে যাই ভাবি, কিন্তু এ বাজারে যাই-ই বা কোথায় ? ক্ষেত্রবাবু বলিলেন-অ্যােচ্ছ শরৎ, তোমায় একটা কথা বলি। আমাদের না হয় বয়েস হয়েছে, স্কুল মাষ্টারি ধরেছি। অনেক দিন থেকে, কোথায় আর এ বয়সে যাবো-কিন্তু তুমি ইয়ং ম্যান, কেন মরতে এ লাইনে পচে মরবো ? স্কুল মাষ্টারি কি কেউ সখ ক’রে করে ? সমস্ত জীবনটা মাটি। এখনও সময় । থাকতে অন্য পথ দেখে নাও-তুমি, কি ওই গেম টিচার বিনোদবাবু, কেন, যে তোমরা এখানে আছ। পিওর লেজিনেস্— ' শরৎবাবু বলিলেন-লেজিনেস নয় দাদা। এখানে পাচিশ পেতাম, হোল বাইশ। অনেক চেষ্টা করেছি, হেন আপিস নেই, যেখানে দরখাস্ত-হাতে ঘাইনি --হেন লোক নেই, যাকে ধরিনি। আমরা গরীব, নিজের লোক না থাকলে হয় না। আমাদের কে ব্যাক করছে, বলুন না। দাদা ? -কিন্তু তা তো হোল, এ স্কুলের অবস্থা দিন দিন-হয়ে দাড়ালো কি ? -কে জানে কেমন ? সাহেবের অতি কড়াকড়ি, অমন পড়ানোর মেথড - কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। ’ যদুবাবু বলিলেন-ত নয়-কি হয়েছে জানো ? পাশের স্কুলগুলো