পাতা:অনুবর্তন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুবর্ত্তন ३७ স্কুলের হাড়ভাঙা খাটুনির পরে এবং যে যাহার টুইশানিতে যাইবার পুর্ব্বে এখানটিতে বসিয়া আধা ঘণ্টা ধরিয়া চা খাওয়া ও গল্পগুজব প্রত্যেকের পক্ষে বড় আরামদায়ক হয়। বস্তুতঃ মনে হয় যে, সারাদিনের মধ্যে এই সময়টুকুই অত্যন্ত আনন্দের, যাহারা চারিটা বাজিবার পুর্বে ঘড়ি দেখিতে পাঠান, তাহারা নিজেদের অজ্ঞাতসারে এই সময়টুকুরই প্রতীক্ষা করেন। তবে স্কুল-মাষ্টার হিসাবে ইহাদের দৃষ্টি সংকীর্ণ, জীবনের পরিধি সুপ্রশস্ত নয়, সুতরাং কথাবার্ত্তা প্রতি দিনু একই খাত বাহিয়া চলে। সাহেব আজ অমুক ঘণ্টায় অমুকের ক্লাসে গিয়া কি মন্তব্য করিল, অমুক ছেলেটা দিন-দিন খারাপ হইয়া যাইতেছে, অমুক অঙ্কটা এ ভাবে না করিয়া অন্য ভাবে কি করিয়া ব্ল্যাকবোর্ডে করা গেল, ইত্যাদি । ক্ষেত্রবাবু বলিলেন-মাসটিতে ছুটছাটা একেবারেই নেই, না নারাণবাবু? -কই আর, সেই ছাব্বিশে কি একটা মুসলমানদের পর্ব আছে, তাও যে छू िcनाव कि मi -कि cाद । भिः अiलभ अiशांध्र कtद्ध cनहय। --নাঃ, এক আধা দিন ছুটি না হোলে আর চলে নাযদুবাবু বলিলেন-ওহে, হাফ কাপ একটা দাও তো। আজ চ’টা বেশ 可究t或一 চার পয়সার বেশি খরচ করিবার সামর্থ্য কোনো মাষ্টারেরই নাই চায়ের দোকানে। যদুবাবুর এই কথায় দু-একজন বিস্মিত হইয়া তাহার মুখের দিকে চাহিলেন । নারাণবাবু বলিলেন--কি হে যদু, দমকা খরচ করে ফেললে যে ! -খাই একটু নারাণ দা ! আর ক'দিনই বাযদুবাবু একটু পেটুক ধরণের আছেন, এ কথা স্কুলে সবাই জানে। বাজারহাট ভালো করিয়া করিতে পারেন না পয়সার অভাবে, সামান্য বেতনে বাড়ীভাড়া দিয়া থাকিতে হয়--কোথা হইতে ভালো বাজার করিবেন-তবে নিমন্ত্রণ আমন্ত্রণ পাইলে সেখানে দুইজনেরই খাদ্য এক উদারস্থ করেন, স্কুলে ইহা লইয়া নিজেদের মধ্যে বেশ হাসিঠাট্টা চলে । নারাণবাবু বয়সে সর্বাপেক্ষা প্রবীণ, প্রবীণত্বের দরুণ অপেক্ষাকৃত বয়ঃ :