পাতা:অনুবর্তন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুবর্তন Dè অধনী বলিল-ভালই তো, চলুন না হয়, বৌদিদির বোনের বাড়ী দেখেই আলি-গায়ে থাকি পড়ে, কুটুম্বুবাড়ীর ভালটা মন্দটাওনা হয় খেয়েই আসি ਕকোথায় যাইবে অবনী তাহার সঙ্গে-তিনি এখন শ্রীশের মেসে গিয়া উঠিবেন । যদুবাবুকি যে বলেন, উপস্থিত বুদ্ধিতে আর কুলায় না। আকাশ পাতাল ভাবাও যায় না। সামনে দাড়াইয়া । বলিলেন-বেশ, বেশ-এ তো খুব ভাল কথা, তোমাস মত কুটুম্ব যাৰে আমার শালীর বাড়ী। তবে একটা কথা ভাবছি। আবার । যদি কলকাতায় গিয়ে আমাদের স্কুলের হেডমাষ্টারের দেখা না পাই -८ट्रख्भांडेंद्र ? ८कन शांतযদুবাবু এতক্ষণে ভাবিয়া বলিবার একটা রাস্তা খুজিয়া পাইয়াছেন । বলিলেন-হেডমাষ্টারের কাছে যান্ধেব বইখানা রয়েছে কিনা। ছেড়ে মাষ্টার না থাকলে টাকা তুলবো কি করে ? -কারো কাছে চাইলে আপনি দুদিনের জঙ্গ ধার পেয়ে যাবেন দাদা । আপনার কত বন্ধুবান্ধব সেখানে-এ দায় উদ্ধার করতেই হবে আপনাকে । দিন একটা উপায় করে । -অবিশিষ্ট তা পেতাম। কিন্তু আমার যে বন্ধুবান্ধব এখন গরমের সময় কেউ নেই কলকাতায়, দার্জিলিং কি সিমলে পাহাড় বেড়াতে গিয়েছে। গরমের সময় । কলকাতার বক্তলোক, উকিল ব্যারিটার সাৰ-গরমের সময় সব পাহাড়ে চলে যাবে। এ কি তুমি আমি ? --তাই তো দাদা, তবে আমার কি উপায় হবে ? অবনী মুখুয্যে প্রায় কঁদো কঁদো হইয়া পড়িল । ঘন্ধু বলিলেন--কিছু ভেবো না ভায়া । আমি যাচ্ছি। কলকাতায়-গিয়ে একটা যা হয় হিলো লাগিয়ে দেবো। কেন তুমি পয়সা খরচ করে অনর্থক যাবে আমার সঙ্গে। আমি চেষ্টা করে দেখে মনিঅৰ্ডার করে দেবো কাঁতে পেলেই। আচ্ছা চলি, দুটো খেয়ে নিই-আর দেরি করা চলে না। যন্ধুবাবু বাড়ের বেগে সে স্থান ত্যাগ করিলেন।