পাতা:অনুসন্ধান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সান্থনা ছেলে কলকাতায় থাকতো-এখন কানপুরে আছে, সেখান থেকে পুজোয় একজোড়া চটি পাঠিয়েচে । ননীবালা বেলুন নিয়ে পরোটা বেলে দিচ্ছিলো। -সরুন কাক, আপনি পারবেন না । আমি ভেজে দিই। --না, মা আমি নিজেই ভাজতে পারবো । ননীবালা জোর দিয়ে বললে-আপনি সরে বসুন দিকি । পরোটা তৈরী করা শেষ হলে সে দুধ গরম করে দিলে, পিড়ি পেতে বৃদ্ধিকে বসবার জন্য আসন করে দিলে। তার পরে বসিয়ে তাকে খাওয়ালে। বৃদ্ধের মুখ দেখলেই স্পষ্ট মনে হয় যে তিনি বহু বছর এ ধরনের আদর যত্ন থেকে বঞ্চিত । -পরোটা খুব ভাল হয়েচে । মেয়েরা না তৈরি করলে খেয়ে তৃপ্তি হয় না। মেয়েদের হাতের রান্নার স্বাদ আলাদা। বৌমা, ভগবান তোমাকে আশীৰ্বাদ করুন, বহুদিন পরে আজি ভাল খেলাম । --আপনার ছেলের বেীদের এখেনে আনেন না কেন ? --তা হয় না। এই নির্জন ছন্নছাড়া জায়গায় তাদের কি থাকতে বলতে পারি ? তারা সুখী হবে না। আমি নিজে গরীব হলেও—ছেলেদের বড় করে তুলেচি। তারা সব ভাল ভাল খায়-দায় । ভাল পরে। তাদের বিয়েও দিয়েছি তেমনি ঘরে । বড় ছেলের শ্বশুর মতিহারীর সিভিল সার্জেন, « సా