পাতা:অনুসন্ধান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুসন্ধান ছ। বছর পরে। রাখালবাবুর বাড়ি তাঁর স্ত্রীর কলেরা। নারাণ মাস্টার ছাত্রদল নিয়ে সেবা করচেন। ছেলেদের মধ্যে ইন্দুভূষণই পরিচালক। সবাই ব্যস্ত, কেউ জল গরম করচে, কেউ ডাক্তার বাবুর হাতে সাবান দিয়ে জল ঢেলে দিচ্ছে। রাখাল মাস্টারের মেয়ে গ্রীতি ইন্দুভূষণকে সাহায্য করে। কৃতজ্ঞতায় গ্রীতির তরুণ হৃদয় কানায় কানায় ভরা। রাখালবাবুর স্ত্রী রাত্রে মারা গেলেন। শ্রীতিকে ইন্দু বোঝায়। এর আগেও ইন্দুর সঙ্গে গ্রীতির দেখা হয়েচে দু-একবার। নারাণ মাস্টার রাখালবাবুর বাসায় খবরের কাগজ আনতে পাঠাতেন, গ্রীতিই কাগজখানা ইন্দুভূষণের হাতে দিত। কৃতজ্ঞতা প্রেমে পরিণত হোল ক্রমশঃ । মাতৃবিয়োগের পর শোকাচ্ছন্ন দিনগুলিতে ইন্দুভূষণ সান্থনা দিত। ওকে। রাখাল মাস্টার বাড়ি থাকতেন না। দু-জনে প্রেম গড়ে উঠলো। ইন্দুভূষণ ম্যাট্রিক পাস করে তখন কলেজের ছাত্র। কিন্তু নারাণবাবুর বাড়িতে সে নিয়মিত আসে। মনোরম বয়স ও দারিদ্র্যের ভারে ক্লান্ত হয়ে পড়েচেন । ছেলে অবাধ্য, লেখাপড়া করলে না, দু-বার ম্যাটিক ফেল করেচে। মাকে এসে বলেচে, মা একটা কলের গান। কিনবো, NGt