পাতা:অনুসন্ধান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

অনুসন্ধান

যাচ্ছে না। সেগুলো আপনি মীমাংসা করে দিয়ে টাকা নিয়ে যান।

—সে কি কথা? এতদিন তো হেড মাস্টার কিছু বলেন নি? আর আমার ওপর লাইব্রেরির চার্জও ছিল না। সে ছিল ক্ষেত্রবাবুর ওপর। আপনি হেড মাস্টারের সার্কুলার দেখবেন।

—আচ্ছা এখন যান। আমি বড় ব্যস্ত।

—আমার হাত খালি। বাড়িতে স্ত্রী অসুস্থ। ছেলেটিকে সন্ধান করতে গিয়ে খরচপত্র হয়ে এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে। বড্ড উপকার হোত এই সময় টাকাটা পেলে।

—সবই বুঝলাম। কিন্তু আমিও তো বেনিয়মে বেহিসেবে টাকা দিতে পারি নে? আমার এখন সময় নেই। এখন যান আপনি।


বাড়ি ফিরে এলেন নারাণ মাস্টার।

মনোরমার শরীর খারাপ। তার জন্যে কিছু ফল নিয়ে আসতে পারলেন না। এক দোকানে জোড়া সন্দেশ বিক্রি হচ্চে, চার আনা জোড়া, মনোরমা এসব খেতে পান না, গরীবের ঘরের স্ত্রী। বড় ইচ্ছে হোল ঐ জোড়া সন্দেশ

৩৮