পাতা:অনুসন্ধান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मरिश्न সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়েচে ভাল ফুটবল খেলতে পারার জন্যে। কাজকর্মেও তার খুব মন, এ ছাড়া অঙ্কের টিউশনি করে। প্রতি মাসে সত্তর-আশি টাকা রোজগার করে। দশ বছর আগে নলীনীলক্ষণ স্বামী মারা গিয়েচে। সুরেশ তখনই স্কুলে পড়ত। যে কষ্টের মধ্য দিয়ে তাদের দিন কেটেচে-সে। স্বপ্নেও ভাবে নি যে, ও আঘাত তারা কোন দিন সামলে উঠতে পারবে। কিন্তু রেলের কলোনীর সকলেই যথেষ্ট সাহায্য করেচে। তারাই একটা বাসা ঠিক করে দিয়েছিল, কারণ ' রেলের কোয়ার্টার ছেড়ে দিতে হল। রেলওয়ে ইনষ্টিটিউটের সেক্রেটারী রায়বাহাদুর হরিচরণ বসু নিজে এসে তাদের খোঁজ-খবর নিয়ে যেতেন। ইনষ্টিটিউটের ট্রাস্টীরা সুরেশের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করে দিলেন এবং এই অনাথ পরিবারকে অনশনের হাত থেকেও বঁচিয়ে রাখলেন । আজ মনে হচ্চে অকুল সমুদ্রে সে কুলের আভাস দেখতে পাচে। সকলেই বলচে যে দেশ স্বাধীন হয়েচে, তখন এবার সব দুঃখকষ্ট ঘুঢ়ল, ছেলেরা ভাল ভাল কাজ পাবে আর জীবন পাত করতে হবে না। স্বাধীন পৃথিবীতে আর কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না-অনেক বড় বড় কাজ হবে