পাতা:অনুসন্ধান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাত্মনা বাড়ির তুমিই হলে গৃহ-লক্ষ্মী-শাক বাজিয়ে বরণ করে 6ङाल ! দ্বিপ্রহরের প্রখর তাপে নিমের অলস মধুগন্ধের সঙ্গে অজস্র পুরোনো স্মৃতি ভেসে আসচে, ননীবালা একদৃষ্টি বঁাশঝাড়ের দিকে তাকিয়ে থাকে, তার মন অতীতের আবেগজড়িত মুহুর্তের স্মৃতিমন্থনে ডুবে। এমনি কোন কোন মুহুর্তে সুরেশ ডেকে বলে-“মা এক গ্লাস জল দেবে ? সে চমকে ওঠে, বিক্ষিপ্ত কল্পনা টুটে যায়, পাছে সুরেশের কাছে তার মনোভাব ধরা পড়ে যায় এই ভেবে লজ্জিত হয়ে ওঠে। ] সুরেশকে জল এনে দিয়ে সে তালির কাজে ব্যস্ত হয়ে ওঠে, অথবা বঁট নিয়ে তেঁতুলের গাদা কুটিতে বসে। তারপর আবার তার মন পুরোনো দিনের মধ্যে ফিরে যায়। একদিন সে উঠোনে একগাদা তেঁতুল নিয়ে এমনিভাবে ‘সে পা টিপে টিপে এসে পেছন থেকে ফিসফিস করে বলেছিল-“এসব বাজে কাজ রেখে দাও দিকি নি, লেবুর পাতা লঙ্কা আর নুন দিয়ে তেঁতুল মাখো বরং ।” ከሎû