পাতা:অন্ধকারের আফ্রিকা.djvu/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ন্যাসালেণ্ড Y আমাকে বিশেষ দয়া দেখালেন, কিন্তু আমাকে একথা বলুতে হবেই আমার দেশবাসীরা আইনমতে আপনার কুেবিন ক্লাসের পাসনজার হতে পারে না । কাপ্তান এরপর আর আমার সংগে সাক্ষাৎ করেন। নি। আমিও অনেকটা লজিতেই হয়েছিলাম, কারণ আমার জন্ম সেই দেশে যেখানে এখনও “জাতিভেদ” বর্তমান, যেখানে এখনও হরিজন বলে এক শ্রেণীর লোক আছে, সেখানে এখনও ব্রাহ্মণ বলে এক শ্রেণীর লোক বড় লোক বলে পরিচয় দেয়, এবং লুপ্তানে এখনও আমার স্বদেশবাসী তাদের জাত ভাইকে ধাইগার, মেথর চামার, ডোম, নাম বলে সুখী হয়, যেখানে এখনও হিন্দুর ধরমশালায় মুসলমানুন্দর থাকতে দেওয়া হয় না। সেই দেশের লোক হয়ে আমি কি প্রকারে শ্বেতকায় কাপ্তানকে দোষ দিতে পারি ? আমাদের দেশের কােনা পুকুরে যেমন পানা জমে থাকে এবং সেরূপ পুকুরে কেউ পা ধুইতেও ভালবাসে না ঠিক সেরূপ জলে আমাদের জাহাজখানা প্রায় একঘণ্টা চলল। এরূপ চলার সময় আমি নানা রকমের চিন্তায় একেবারে তন্ময় ছিলাম । কতক্ষণ পর হঠাৎ জাহাজ স্বচ্ছ জলে এসে উপস্থিত হল। হ্রদের কিনারা কোন দিকেই দেখা যাচ্ছিল না। উপরে নীল আকাশ আর নীচে নীল জন্ম । তবে এ নীল জল লোনা নয় ; আমাদেৱ পুকুরের জলের মতই মিষ্টি । আমাদের দেশের যে সকল নাবিক সমুদ্রে , যায় তারা যখন जभूकद থাকে তখন তাদের জন্য জাহাজে জল৷ বোঝাই করে নেওয়া ইয়। সমুদ্রের জল ভয়ানক লোনা এবং কটু। সেই লোনা জ্বলের" সংগে তুলনা কয়ে যখন কথা বলা হয় তখন নদীর জলকে মিষ্টি জল বলা ছাড়া আর উপায় থাকে না। মিষ্টি জল কথাটা