পাতা:অন্ধকারের আফ্রিকা.djvu/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্ধকারের আফ্রিকা আরব পাড়া ছাড়িয়ে একটি খাবারের দোকানে গিয়ে বসলাম। নানা রকমেরই খাবার তৈরী ছিল। মাছ, মাংস, ডিম, ভাত, রুট, ঘি দিয়ে ভাজা রুটি, পোলাও, গায়স এবং নানারকমের সব জীও ছিল । মাছ যেমন নানা রকমে পাক করা হয়েছিল, মাংসও তেমনি নানা রকমের। জানজিবারে গোমাংসের প্রচলন অধিক অথচ এখানকার লোক প্রচলিত কথামতে দূষিত রোগে কষ্ট পায় না । সেনিটেশন জানজিবারে বেশ উত্তমরূপেই রক্ষা করা হয়। নিগ্রো, ইণ্ডিয়ান, অৰ্দ্ধ-নিগ্রেী সকলেরই শহরে থাকার জন্য যে অভিজ্ঞতার দরকার তা প্রত্যেকেরই আছে। খাবারের দোকানে কেউ থুথু ফেলে না, গ্লাসে হাত ধোয় না, উচ্ছিষ্ট গ্লাস যে পর্যন্ত পরিষ্কার হয়ে না। আসে। সে পর্যন্ত তা কেউ ব্যবহার করে না । নিগ্রো এবং আরবদের মাঝে এত মার্জিত আচারব্যবহার পাব বলে আমার ধারণাও ছিল না । পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্থানে বসে কথা বলতেও আনন্দ হয় । কিন্তু কি কথা বলব ? এখানকার লোক অতি কম কথা বলে এবং যা বলে । তাও অতি দরকারী। আমার তরফ থেকে কথা বলার উপায় ছিল না। খাবারের দোকানের বয়গুলি অতীব বাক্যবাগীশ এবং ধীরে কথা বলে। তারা নানা বিষরে অভিজ্ঞ। তারা আমার আদেশ শুনছিল। তারা নানা ভাষাভাষী । তাদের মধ্যে একজন জিজ্ঞাসা করেছিল “মিষ্টার কি পর্যটক ?” আমার জুৰাব তার প্রতিকূলে পেয়ে সে নানা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছিল । গ্রাহকদের আমার কথা শুনাতে ছিল । খাবারের দোকানে চাঞ্চল্য এসে দেখা দিয়েছিল। বৃটিশের গােপনীয় পুলিশ এল । কথা বন্ধ হয়ে গেল। জানজিবারের লোক জানতে বাধ্য হয় কে কেমনতর মানুষ, কারণ এ বিষয়ে অনভিজ্ঞ হলে প্রচুর কষ্ট পেতে হয়। লোকগুলি যেমন কর্ম তেমনি তাদের কর্মপ্ররণা লোপ করার জন্য