পাতা:অন্ধকারের আফ্রিকা.djvu/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জানজিবার উপযুক্ত ব্যবস্থাও ছিল। তারা সকলেই সাধারণ লোক। ‘চাকরিটাও” নাই “ঠাকুরটাও”। নাই, ছোটলোকের ছেলেও নাই, বড়লোকের ছেলেও নাই, সকলেই মানুষ, সকলেই আপন শক্তি পাবার জন্য উদযোগী । 最 বড় সুন্দর দৃশ্য। ঘরখানা একেবারে নীরব। মাঝে মাঝে তারকারী খারাপ হয়েছে। ভাত পুরে গেছে, এসব মন্তব্যই করা হচ্ছিল । কিন্তু কেউ বলে নি জিনিষের দাম বেড়ে গেছে। আমি অনুসন্ধান করতে লািগলাম অন্য আর একটা বিষয়। এমন কি চটপটে কথায় পারদর্শী পুলিশটাকে জিজ্ঞাসা করলাম “যদি খাদ্য বিক্রী না হয় তবে তা কি ফেলে দেওয়া হয় না ?” লোকটি ঘাড় নেড়ে, হাত নেড়ে তার পর চোখে মুখে এবং নাকের সাহায্যে। “হঁ” কথাটা বুঝিয়ে দিল । যাদের মনে ময়লা জমে তারাই বেশি কথা বলে। নয়ত একদম চুপ করে থাকে। এই লোকটায়ও মনের কোণে ময়লা জন্মেছিল । এরূপ লোক অনেক সময় আমাকে অনেক নতুন নতুন সংবাদও সরবরাহ করত । এই লোকটি আমাকে একটি ব্যাংগালীর সন্ধান দিয়েছিল এবং সে নিজে আমাকে যাংগালী লোকটির কাছে নিয়ে গিয়েছিল। এ দিকের পথ বড়ই অপরিষ্কার। স্থানটি শহরের বাইরে ; এক পসিলা বৃষ্টি হওয়ায় পথে কাদা জমে গিয়েছিল। কাদা পার হয়ে একটা অৰ্দ্ধবাজারের মত স্থানে বাংগালীটির দেখা পেলাম। লোকটি তখন কতকগুলি তেলেভাজা থাদ্য বিক্রি করছিল। লোকটির বাড়ি হ’ল শ্রীকৃষ্ট জেলায় এবং সে কোনও এক সময়ে খালাসীর কাজ করত । সে কি করে • এদেশে আসে তার কথা জানতে চেয়েছিলাম। লোকটি দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করে বলেছিল। “সে অনেক দিনের কথা” । যদিও লোকটি অনেকু দিন হল স্বদেশ পরিত্যাগ করে বিদেশে বাস করছিল।