পাতা:অন্ধকারের আফ্রিকা.djvu/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

६:!--(ळ জানজিবারে দেখার মত আর কিছু ছিল না। তাই কয়েক দিন বিশ্রাম করে টাংগানিয়াক এলাকাতে যাবার জন্য একখানা জাহাজের টিকিট কিনলাম। এখান হতে টাংগানিয়াকার রাজধানী দ্বার-এ-সেলামে সপ্তাহে দুবার করে জাহাজ যাওয়া-আসা করে। বিদায়ের পূর্বে ইচ্ছা! হল একবার জানজিবারের আমদানী এবং রপ্তানী শুল্ক কেমন আদায় হয় তা জেনে যাই। জানতে পেলাম বিদেশ হতে আমদানী দ্রব্যের উপর প্রচুর টেক্স বসান হয়। বম্বে হতেই বেশীর ভাগ খাদ্যদ্রব্য জানজিবারে যায়। বম্বের রপ্তানী টেন্তু এবং জানজিবারের আমদানীকরা দেবার পর ভারতীয় খাদ্যদ্রব্য উঁচু দরে জানজিবারে বিক্রয় হয়। ভারতবাসী তাদের স্বদেশের চূড়াল এবং ঢাল না হলে বিদেশে গিয়েও যেন বাঁচতে পারে না, সেজন্য উঁচু দরের মাশুল দিয়েও স্বদেশজাত উৎপন্ন দ্রব্যই ব্যবহার কয়ে। বর্তমানে আফ্রিকাতেও নানা রকমের ডালের চাষ হচ্ছে ; কিন্তু সে ডাল ভারতবাসী ব্যবহার করতে পারে না । তার একমাত্র কারণ হ’ল সে ডালে একটা বুনো গন্ধ থেকেই যায়। ভারতবাসী স্বদেশজাত উৎপন্ন দ্রব্য ব্যবহার করতে বাধ্য হয় বলে জানজিবার সরকার তাদের প্রতি একটুও দয়া প্রকাশ করে না। ভারতীয় উৎপন্ন স্ত্রািব্যক্ষ উপর উচু হারে টেক্স বসিয়ে প্রত্যেক বৎসয়ে বেশ মােটা টাকাই রোজগার করে থাকে। •ኅኞቋ জানজিবার হতে বিদায়ের দিন আমার গচ্ছিত এক শত শিলিং কাষ্টম আপিস হতে ফিরে পেলাম এবং যথানিয়মে আমার “পিঠ