পাতা:অন্ধকারের আফ্রিকা.djvu/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বার-এ-সেলাম ৩৭ ফের আমাকে ডেকে বললেন “আপনার সম্বন্ধে বেশ একটি ভাল .প্রবন্ধ কাল সকলে আমার কাগজে দেখতে পাবেন।” আমি দূর থেকেই বললাম “সেজন্য আমাকে ধন্যবঢ়া।” পরের দিন সংবাদপত্রে দেড় কলম ব্যাপিয়া আমারু সম্বন্ধে এক প্রবন্ধ বের হল। প্রবন্ধটি সুখপাঠ্য তবে তাতে এমন কিছু ছিল না। যা দেখে আমি হাত তুলে নাচতে পারতাম। কিন্তু প্রবন্ধটি বের হবার পরই হঠাৎ কোথা হতে কয়েকটি লোক এসে পড়ল। তার মাঝে এক জন নিজভাষাভাষী লোকও ছিলেন। তাদের উচ্চ প্রশংসা শুনে আমি হয়রান হয়েছিলাম । মনে মনে ভাবলাম বুটন লোকটি আমাকে ভাল বলেছে তাই বৃটিনের পদলেহনকারীরা আমারও পদলেহন করতে আসছে। একজন ভদ্রলোক যখন বললেন “টাংগানিরাকাস্ট্যাগুড়ি শুধু আপনারই প্রশংসা করেছে, অন্য কোন ভারতবাসীর এত ংসা আজ পর্যন্ত করে নি।” তখন আমি বলতে বাধ্য হলাম। এরূপ প্রশংসার কোন মূল্য নাই, মহানুভাবগণ, এই প্রশংসার পেছনে মন্তবড় একটা আদেশও রয়েছে তা আপনার দেখেছেন কি ? সেই আদেশ কিরূপ সংবাদপত্রের সম্পাদক করেছেন তা বুঝবার জন্য চেষ্টা করুন। বাংগালী মহাশয় আর মুখ বন্ধ রাখতে পারলেন না, তিনি মুখ খুলেই বললেন “তা কি আমরা জানি না, নিশ্চয়ই জানি, আবার এটাও জানি আপনি এই অদৃশ্য আদেশ মানবেন।” ভদ্রমহাশয় স্বভাষাভাষীকে বলতে বাধ্য হলাম “ক্লাইভ এবং পাঠানরা যখন বাংলা দেশে এসেছিল তখন আপনাদের মত মহানুভাবগণই আপনাদের পূর্বপুরুষের দ্বারা স্থাপিত “দোল-দুর্গোৎসব” বজায় রাখতে গিয়ে পাঠানরাজ্য এবং বৃটিশ রাজ্য স্থাপন করতে সাহায্য করেছিলেন, আমি সে চিজ নই। আমি তথাকথিত সম্মানের ধার ধারি না, আমি