পাতা:অন্ধকারের আফ্রিকা.djvu/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ty অন্ধকারের আফ্রিকা যদিও সিন্ধি লোকটি অমায়িক, যদিও তার দোকান সজীব ভাবেই সজ্জিত ছিল তবুও মনে হল সেই সজীবতায় লাবণ্য নাই। অদূরে এক বেণের দোকান। বের্ণে কাঠিওয়ার-নিবাসী। বেণে বয়সে বৃদ্ধ । র্তর দোকানে পূৰ্বদেশীয় ভােব বিরাজমান। বেণে একটি ইংলিশ কথাও জানেন না, তবুও তঁর কথায় এমনই একটি প্রখরতা ছিল যা আমাকে তঁৱেই কাছে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল । আমি কখনও পূৰ্বদেশীয় প্রথা পছন্দ করিনি, পূৰ্বদেশীয় পোষাক আমার কাছে মোটেই তাল লাগত না, কিন্তু এই বৃদ্ধ আমাকে অতি অল্প সময়ের মাঝে তার কাছে টেনে নিতে সমর্থ হয়েছিলেন । এই বৃদ্ধ মহাত্মা গান্ধীৱ সংগেই দক্ষিণ আফ্রিকাতে সত্যাগ্রহ করে ভীষণভাবে নির্ধাতিত হন। এখন এই বৃদ্ধ আর সত্যাগ্রহের পক্ষপাতী সন, এখন বৃদ্ধ কার্যত এক জন গুণ্ডা। বৃদ্ধ নিরামিষভোজী। তিনি আমাকে বলছিলেন অনেক জৈন ধর্ম্মাবলম্বী আছে তারা একটি জীবও বধ করে না, কিন্তু যখন তারা নরহত্যায় অগ্রসর হয় তখন , তারা চেংগীজ খানের মত দয়ামায়াঙ্গীন হয়ে নরহত্যা করে । “দণ্ড এই বৃদ্ধ নরহত্যা করেন নি তবুও তার “ধুতি প্রসাদ” নাম চলে গিয়ে “ধুতি প্রমাদ” নাম হয়েছিল। বৃদ্ধ আমাকে তঁর ঘরে স্থান দিতে সমর্থ হননি। বলে বড়ই দুঃখিত ছিলেন, কিন্তু খাবারের বন্দোবস্তু করেছিলেন। ঠােৱ ঘরের একদিকে নানারূপ দেবদেবীর মূর্তি ছিল। প্রত্যহ তাদের পূজা হচ্ছিল। আর সেই ঘরেরই অপর দিকে টেবিল চেয়ারে বসে খাবারের বন্দোবস্তুও ছিল। বেণে বৈষ্ণব ; তঁর জাতবিচার ছিল না। একই টেবিলে মুসলমানের সংগে খেয়ে একই স্থানে স্থাত মুখ যুয়ে, পুরাতন সনাতনীদের পদাঘাত করে নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখছিল। V.