পাতা:অন্ধকারের আফ্রিকা.djvu/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরণ্যে ডুডুমা হতে কিছু দূর গেলেই আরম্ভ হয়। সুন্দর সবুজ ঘাসযুক্ত ময়দান। সে স্থানে নান্নারূপ বন্য জীব আব্রামে বিচরণ করে। সেই বন্যজীব দেখবার প্রবৃত্তি আমার লোপ পেয়েছিল। এখানে নতুন প্রবৃত্তি জেগে উঠল। বৃদ্ধির কাছে দেশ-বিদেশের কথা শোনা, বিপদে কি করে আত্মরক্ষা করা যায়। তার উপার জেনে নেওয়া, কি করে। বিপদে স্থির থাকা যায় সেরূপ মনোভাব অর্জন করা-এসব কথাই আলোচনা করতাম বেশি। বৃদ্ধ বলতেন, “যদি মন ঠিক করে রিক্ত হস্তেও কাউকে আক্রমণ করা যায়। তবে তার আর রক্ষা থাকে না ।” তিনি নাকি মারামারির সময় প্রায়ই শত্রুকে রিক্ত হাতে আক্রমণ করে শত্রুর অস্ত্র দিয়ে শক্রকেই আঘাত করতেন । ১৯১৭ সালে যখন জার্মানরা ডুডুমা ছেড়ে চলে যায়ু তখন নিগ্রেীরা তীর দোকান আক্রমণ করেছিল । তিনি একাই অনেক নিগ্রোকে কত করতে সক্ষম হন। সেজন্য সাম্রাজ্যবাদী বৃটিশ তাকে সোনার মেডেল দেয়নি, বরং তঁর আচরণে অনেক অফিসার প্রকাশ্যেই রাগ দেখিয়েছিল । তার অপরাধ, তিনি একাদা দত্যাগ্রহ করেছিলেন। সত্যাগ্রহী শুধু লাধিই খাবে, লাথি যদি ফিরিয়ে দেয়। তবে আর তাহার সত্যাগ্রহী গুণ থাকে না, সে হয় রাজদ্রোহী । বৃদ্ধ আমাকে ডুডুমা হতে বিদায়ের দিন বলেছিলেন “জংগলের জানোয়ার যদি দেখতে চাও তবে ঐ দুটি লোককে ঘুংগে নিয়ে যাও, তাৰু তোমাকে সাহায্য করবে, আর তাদের ঐ ক্ষুদ্র সাহায্যের বদলে তুমি এক নয়া দুনিয়া দেখবে।” আমি নিগ্রে দুটিকে সংগে নিতে স্বাজি হলাম। তারা যুবতী নয়, যুবক। তারা শ্বেতকায় নয়, নিগ্রেী । তারা ভীরু নয়, সাহসী। তারা একদিন ছিল সোপাই, এখন তারা