পাতা:অন্ধকারের আফ্রিকা.djvu/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R অন্ধকারের আফ্রিকা বাতাস এসে শরীরে লাগে। অনেকে সে গরম সহস্থ করতে পারে।-- না । আমি তা সহ্য করতে সক্ষম হয়েছিলাম। এসব পথে রাত কাটানো নিরাপদ নয় । অজগর শ্রেণীর সাপের প্রথম ভয় তারপর বিছুও আছে। সেজন্য সারারাত, আগুন জালিয়ে রাখতে হ’ত । আণ্ডন সকলেই ভয় করে। বিছুও আমাদের কাছে আসতে সান্দস করল না। তিন দিন পথ চলে চতুর্থ দিন আমরা মােয়ান্‌জাতে আসি । আমি স্থানীয় হিন্দু ধুরমশালায় স্থান পাই, আর আমার সাখীরা অন্যত্র গিয়ে বাস করতে থাকে। মোয়ানজা পৌছার দুদিন পরই আমাকে পুনরায় ম্যালেরিয়া আক্রমণ করে। এখানে এক জন জার্মান ডাক্তার ছিলেন । তাকেই ডাকলাম। তিনি তিনটি মাত্র বড়ি ছিলেন এবং বললেন এতেই জর সেরে যাবে। বড়ি তিনটিকে এটাব্রিন বলা চলে ନାଁ, কুইনাইনও নয়। তিনটি বড়িতেই আমি সেরে উঠেছিলাম, কিন্তু শরীর এত দুর্বল হয়ে পড়ল। যে এখানে সাতদিন থাকতে হয়েছিল। এখানে প্রচুর গোদুগ্ধ পাওয়া যায়। আমি নিগ্রোসায়ীদের সাহায্যে দুধ কিনিয়ে এনে প্রচুর পরিমাণে দুধ খেতে লাগলাম। মোয়ান্‌জাতে আসার পরই মনে হয়েছিল। আমি স্বদেশের কোনও গ্রামে এসেছি। আমাদের দেশের গ্রামের গঠনের সংগে নিগ্রোদের ঘরবাড়ি তৈরি করার বেশ সম্বন্ধ আছে। আমরা এখনও প্রিমিটিভ অবস্থায় আছি তা বলার জন্য কথাটা উত্থাপন - কয়ছি না। যখনই মানুষ একদম বর্বর থাকে তখনই তারা ঘরগুলি গোল করে তৈরী করে। যেমন আমাদের দেশের শিবমন্দির। যখনই মানুষ একটু সভ্য হয় তখনই সে ঘোচালা ঘর তৈরী কৱে_। শীতপ্রধান দেশে লোক যখন বাবার ছিল তখন একচালা স্বয়ই বােধ হয় গঠন করেছিল। তারপর যখন আরও উন্নতি করে তখন তাদের ঘরের চালের সংখ্যাও বাড়ে। নিগ্রোয় দুচালায় এসেছে”। মাত্র।