পাতা:অন্ধকারের আফ্রিকা.djvu/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ზუჯ% অন্ধকারের আফ্রিকা হিন্দুই হোক আর মুসলমানই হোক বৈজ্ঞানিক প্রথামতে ধর্মচৰ্চা করতে রাজি নয়। আল্লা এবং ভগবান যেন এদের কোন নিকটস্থ আত্মীয়। এ সম্বন্ধে সামান্য উচ্চবাচ্য করলে ভারতীয় হিন্দু মুসলমানের যেমন লাগে অন্যান্যেরা তেমন কিছুই মনে করে না। কাইরো অথবা আলেক্সজেন্দ্রেরিয়া হতে যে সকল ব্যবসায়ী কার্য উপলক্ষে দক্ষিণে আসে তারা ভারতবাসীর প্রতি ভযানক বিরূপ। উত্তরের আরব, ভারতবাসীর সংগে মন খুলে কথা বলতেও রাজি হয় না । আমাকে এক জন আরব বলেছিলেন, “ভারতবাসীর মাঝে বেণ্যেরাই সবচেয়ে শিক্ষিত। আমি তার কারণ জানতাম। এদিকে যে সকল গুজরাতী বোেণ ব্যবসা-বাণিজ্য করছে তারা বেশ উদার এবং ধর্ম কথা নিয়ে অনর্থক অপরকে হয়রাণ করে না। আমি যখন চায়ের দোকানে গিয়ে বসতাম। তখন আরবগণ আমাকে ঘিরে বসত এবং নানা দেশের সংবাদ নেবার পর প্রত্যেকে আপনি আপন থলিয়া হতে আমাকে কিছু আর্থিক সাহায্য করত। এসব আকর্ম্মদেয় মাঝেও কতকগুলি কুসংস্কার আছে। তাদের কাছে মানিবেগ থাকে । কোন জিনিস কেনার সময় তারা মানিবেগে রক্ষিত অর্থের ব্যবহার করে । কিন্তু আমাকে কিছু দেবার বেলা তারা তাদের অতি যত্নে রক্ষিত থলিয়া হতে দেশ-বিদেশের মুদ্রা হতে কিছু দিত। আমাদের দেশে নিষ্ঠ বলে একটা কথা প্রচলিত আছে! নিষ্ঠাবান লোক আমি খুব কমই দেখেছি, কিন্তু আরবগণ বিখন তাদের থলি খুলে অর্থ দান করত তখন তাদের মুখে নিষ্ঠার একটা ভােব আপনি ফুটু উঠত। এখানকার নিগ্রোরা বড়ই সৎ এবং অমায়িক, তবে এশিয়াটিক জাতের বিরোধিতা করতে এরা যেন ক্রমেই আগিয়ে আসছে। ইসলাম, খৃষ্টান এ সব ধর্ম যেন তারা বেশ অবহেল্ম করে।