পাতা:অন্ধকারের জানালা - বিদ্যুৎ মৈত্র.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশে পাশে-কিছুই শোনে না সেতে। মমতায় ভালো বেশে কেউ যদি বলেও কাউকে কিছু, কিংবা আমাকে,-সবই যায় ভেসে আরো সব ভয়ঙ্কর শব্দের গভীরে যেন। মনে হয় চারিধার শব্দগুলো করে মাতামাক্তি,-বাড়ি-ঘর, গির্জা আর মন্দির, বিহার অনিবার্য ভেঙ্গে চুরমার। অথচ আশ্চর্য দেখ, পি, কে, বোস, নিতু রায়, অরিন্দম দে-র যথাক্রমে বেী—সিথির সি দুর-তোলা মিনি চাটুজ্যের প্রোৎসাহিত মুখখানি অথচ সুস্পষ্ট দেখি, ভুরুটি আঁকার বিশিষ্টতা তাও দেখি । দু-চোখে তাহার ভবিতব্যতার ঢেউগুলো আকাঙ্খায় দোলে, সেও চোখে ধরা পড়ে - অতি পরিষ্কার । আরো কী আশ্চর্য শোনো, ঘোষেদের বি, এ-পড়া ছোট মেয়েটার ফিস ফিস কথাগুলো সতর্কিতে ছুড়ে-দেয়া গলির ওপার মনে হয় সুবিন্যস্ত অতি । নদী, ঢেউ, বাতাস ছাপিয়ে কথাগুলো শব্দে নাচে, সুরে সুরে শ্রুতিবোধ্য হয়ে, অথচ অসুস্থ কী যে । গাছ, নদী, শব্দ ছেয়ে নিস্তব্ধ আঁধার, আমাকে ঘিরেই নির্বিকার ॥