উত্তম অধম স্থাবর জঙ্গম সব জীবের অন্তরে॥
চেতনাচেতনে মিলি দুই জনে দেহিদেহরূপে চরে॥
অভেদ হইয়া ভেদ প্রকাশিয়া এ কি করে চরাচরে॥
পাইয়াছে টের কি করে এ ফের কবি রায় গুণাকরে॥
হিঙ্গুলায় ব্রহ্মরন্ধ্র ফেলিলা কেশব।
দেবতা কোট্টরী ভীমলোচন ভৈরব॥ ১॥
শর্করারে তিন চক্ষু ত্রিগুণ ভৈরব।
মহিষমর্দ্দিনী দেবী ক্রোধীশ ভৈরব॥ ২॥
সুগন্ধায় নাসিকা পড়িল চক্রহতা।
ত্র্যম্বক ভৈরব তাহে সুনন্দা দেবতা॥ ৩॥
জ্বালামুখে জিহ্বা তাহে অগ্নি অনুভব।
দেবীর অম্বিকা নাম উন্মত্ত ভৈরব॥ ৪॥
ভৈরবপর্ব্বতে ওষ্ঠ পড়ে চক্রঘায়।
নম্রকর্ণ ভৈরব অবন্তী দেবী তায়॥ ৫॥
প্রভাসে অধর দেবী চন্দ্রভাগা তাহে।
বক্রতুণ্ড ভৈরব প্রত্যক্ষরূপ যাহে॥ ৬॥
জনস্থানে চিবুক পড়িল অভিরাম।
বিকৃতাক্ষ ভৈরব ভ্রামরী দেবীনাম॥ ৭॥
গোদাবরীতীরে পড়ে বাম গণ্ডখানি।
বিশ্বেশ ভৈরব বিশ্বমাতৃকা ভবানী॥ ৮॥
গণ্ডকীতে ডানি গণ্ড পড়ে চক্রঘায়।
চক্রপাণি ভৈরব গণ্ডকী চণ্ডী তায়॥ ৯॥
ঊর্দ্ধ দন্তপাঁতির অনলে হৈল ধাম।
সংক্রূর ভৈরব দেবী নারায়ণী নাম॥ ১০॥
পাতা:অন্নদামঙ্গল.djvu/৪৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
অন্নদামঙ্গল।
