হিমালয় মেনকা যদ্যপি দিলা সায়।
লগ্নপত্র করিয়া নারদ মুনি যায়॥
আজ্ঞা দিলা কৃষ্ণচন্দ্র ধরণী ঈশ্বর।
রচিলা ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর॥
শিবের ধ্যানভঙ্গে কামভস্ম।
শিবের সম্বন্ধ করিয়া নির্ব্বন্ধ আইলা নারদ মুনি।
কমললোচন আদি দেবগণ পরম আনন্দ শুনি॥
সকলে মিলিয়া শিব কাছে গিয়া বিস্তর করিলা স্তব।
নাহি ভাঙ্গে ধ্যান দেখি চিন্তাবান হইলা বিধি কেশব॥
মন্ত্রণা করিয়া মদনে ডাকিয়া সুরপতি দিলা পান।
সম্মোহন বাণ করিয়া সন্ধান শিবের ভাঙ্গহ ধ্যান॥
ইন্দ্রের আজ্ঞায় রতিপতি ধায় পুষ্পশরাসন হাতে।
সমুখে সামন্ত ধাইল বসন্ত কোকিল ভ্রমর সাতে॥
মলয়পবন বহে ঘন ঘন শীতল সুগন্ধ মন্দ।
তরুলতাগণ ফুলে সুশোভন জগতে লাগিল ধন্দ॥
যত দেবগণ হৈলা অদর্শন হরের ক্রোধের ভয়।
পূর্ব্ব নিযোজন নিকট মরণ মদন সমুখে রয়॥
আকর্ণ পূরিয়া সন্ধান করিয়া সম্মোহন বাণ লয়ে।
ভূমে হাঁটু পাড়ি দিল বাণ ছাড়ি অনলে পতঙ্গ হয়ে॥
কিবা করে ধ্যান কিবা করে জ্ঞান যে করে কামের শর।
সিহরিল অঙ্গ ধ্যান হৈল ভঙ্গ নয়ন মিলিলা হর॥
কামশরে ত্রস্ত নারী লাগি ব্যস্ত নেহালেন চারি পাশে।
সমুখে মদন হাতে শরাসন মুচকি মুচকি হাসে॥