রতির প্রতি দৈববাণী।
মোহনী বিদ্যায় সবে মোহিত করিবে।
হরিয়া লইয়া কামে সমুদ্রে ফেলিবে॥
মৎস্যে গিলিবেক তীরে আহার বলিয়া।
না মরিবে কাম ভবিতব্যের লাগিয়া |।
সেই মৎস্য জালিয়া ধরিয়া লবে জালে।
ভেট লয়ে দিবেক শম্বর মহীপালে।
কুটিবারে সেইমৎস্য দিবেক তোমারে।
তাহাতে পাইবে তুমি কৃষ্ণের কুমারে।
পুত্রবৎ পালিরা আপন প্রাণনাথ।
মা বলে যদ্যপি তবে কর্ণে দিবে হাত॥
শেষে তারে সম্মোহন আদি পঞ্চ বাণ।
শিখাইয়া পরিচয় দিয়া দিও জ্ঞান॥
শঙ্কর বধিয়া কাম দ্বারকায় যাবে।
কহিনু উপায় এইরূপে পতি পাবে॥
শুনি রতি সাত পাঁচ ভাবনা করিয়া।
নিবায় অনল কুণ্ড রোদন ত্যজিয়া॥
কামের উদেশে চলে শঙ্করের দেশ।
বেশ ভূষ রূপ ছাড়ি ধরি দাসীবেশ॥
শিবের বিবাহ সবে শুন ইতঃপর।
রচিলা ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর॥
শিব বিবাহ যাত্রা।
শিবের বিবাহ পরম উৎসাহ সবে হৈল যত্নবান।
পরম সন্তোষে দুন্দুভি নির্ঘোষেইন্দ্র হৈল আগুয়ান।