পাতা:অন্‌ দি ভল্‌গা.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wa অন্ দি ভলগা করল যে জীবন সেই জীবনের কথা মনে করে ভয় জেগে উঠল আমার দৃষ্টিতে। টানিয়া ও গ্লাসা ঘরে ঢুকেই ব্যাপার কি জানতে চাইল। বাড়ী থেকে ফিরে এলাম কেন এ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতেও ভুল করল না তারা। নতজানু হয়ে বসে তাদের কাছে ঘটনাটা আনুপূর্বিক খুলে বললাম। ‘কিন্তু তার জন্য কাঁদছ কেন? অন্যায় কিছু করনি ত তুমি।' কথা কয়টি বলেই সিড়ি বেয়ে দৌড়ে টানিয়া উপরের তলায় উঠে গেল। দুটির মধ্যে টানিয়াকেই অধিকতর প্রাণবতী বলে মনে হল। ‘কষ্ট্যান্টাইন, সােনিয়ার ছেলে হয়েছে’, উৎফুল্ল ভাবে কথাটা বলেই একটি ছেলেকে সঙ্গে করে সে আবার নীচে নেমে এল। কষ্ট্যান্টাইন ঘরে ঢুকল বটে কিন্তু ব্যাপারটা তখনও তার কাছে রহস্যময়। ‘কই ছেলে কই, কিসের ছেলে !” ঘরে ঢুকেই আমার মুখােমুখী দাড়িয়ে সে প্রশ্ন করল। ‘এখনো ওখানেই আছে, শীগগিরই আসবে। আমার দিকে আঙুল দেখিয়ে টানিয়া উত্তর দিল। আনন্দের আতিশয্যে ও ছুটোছুটির পরিশ্রমে তখনও হাঁপাচ্ছিল সে। মেয়ে দুটি এমন উত্তেজনাপূর্ণ উৎসুক দৃষ্টি মেলে তাকাল আমার দিকে যেন তাদের চোখের সামনে কোন রহস্যময় ব্যাপার সংঘটিত হচ্ছিল ;- তাদের ব্যক্তিগত জীবনের পক্ষে যার তাৎপর্য খুবই মহৎ ও নূতন। চারিদিকে রাশীকৃত চুন-অট্টালিকার সংস্কাৰ,—নিজেদের গৃহহীন অবস্থা, সমস্ত কিছুই যেন ভুলে গেছে তারা। গ্রীষ্মের ধূলি আর উত্তাপের মধ্যে এই বৃহৎ নগরে তারাও যে নিতান্তই নিঃসঙ্গ একথাটাও যেন মুছে গেছে তাদের স্মৃতি থেকে।