পাতা:অন্‌ দি ভল্‌গা.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ অন দি ভলগা নােদেপােড় রঙের সজীব দীপ্তি যেন। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে কেমন যেন অপ্রতিভ বলে মনে হল—একেবারে কিংকর্তব্যবিমুঢ়। অবস্থাটাকে ভারি বিশ্রী মনে হচ্ছিল যেন ওর কাছে। আমাকে অভ্যর্থনা জানাবে, না না-দেখার ভান করে পাশ কাটিয়ে যাবে কিছুই যেন সে বুঝে উঠতে পারছিল না! কিন্তু এক মুহূর্তেই দ্বিধা কেটে গেল। সে টুপিটা নামিয়ে আনতেই অনেকবার মাথা নেড়ে আমি তার অভিনন্দনে সম্মতি জানালাম। এই যথেষ্ট। ভাবলাম আমার সামনাসামনি এসে সে হয়ত কোন কথাই বলতে পারবে না। কিন্তু আমি ছুটে গিয়ে তার উপর অজস্র গালিবর্ষণ করলাম না দেখে সে বেশ একটু মুগ্ধই হল। সে হয়ত চেয়েছিল চলে যাবে কথা না বলেই কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে উঠল না। আমাকে দেখার জন্য সে ঘাড় ফিরাল। আমিও ঠিক সেই মুহূর্তেই তার দিকে চোখ তুলে তাকালাম। হঠাৎ মত বদলে গেল তার। ধীরে ধীরে কাছে এসে সে তার হাতটা এগিয়ে দিল আমার দিকে। লজ্জার ভাবটা তখনও সে একেবারে কাটিয়ে উঠতে পারেনি। আমার পােশাক আর জুতাের উপর তার চোরা দৃষ্টি আমার লক্ষ্য এড়ায়নি। আমি অভাবগ্রস্ত কিনা এইটাই সে বুঝে নিতে চাচ্ছিল। আমার সম্বন্ধে তার দায়িত্বের পরিমাণটা যেন তার জানা দরকার। ইচ্ছা না থাকলেও বেঞ্চের নীচে পা দুটো লুকিয়ে ফেললাম। কেননা আমার জুতাের উপরে মস্ত একটা তালি লাগানাে ছিল। ‘সেই কতদিন আগে তােমার সঙ্গে দেখা। প্রায়ই এখানে আস বুঝি ? বিশ্রীভাবে প্রশ্ন করল সে। ‘আজকের মতাে আবহাওয়া থাকলে নােজই আসি’, আকাশের দিকে তাকিয়ে সূর্যের আলােতে কুঞ্চিত করে জবাব দিলাম।