পাতা:অন্‌ দি ভল্‌গা.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন দি ভলগা ১০৭ “না না••••••ব্যথা দেয়না ‘বাবা’ , খোকার হাতখানা সরিয়ে নিয়ে বললাম আমি। ‘বাবা’ কথাটা উচ্চারিত হতেই আলেকজেণ্ডার কেমন যেন সংকুচিত হয়ে পড়ল লক্ষ্য করলাম। আধ-বােজা চোখের একপাশ দিয়ে সে একবার চেয়ে দেখল আমাকে। আমি না দেখার ভান করে চুপ করে রইলাম। “ওকে আমার বলছ কেন তুমি?” কথাটা বলেই সে হাসতে লাগল। “কেন, নিশ্চয়ই বলব”-সরল ভাবেই জবাব দিলাম। “বেশ•••ওযে একজন নাগরিক!” কণ্ঠস্বরে অতিরিক্ত একটা শ্লেষের ভাব এনে সে কথাটা উচ্চারণ করলো—যেন এই দিয়ে নিজের অপ্রতিভ বিশ্রী অবস্থাটাকে সে চাপা দিতে চায়। সে বােধ হয় চেয়েছিল যে, স্বামী আর পিতা হিসাবে তাকে ধরে নিয়ে তার সঙ্গে আমি অনেক কিছু আলােচনা করব। কিন্তু সেদিক থেকে কোন কথাই বলিনি তাকে। খােকাকে আবার মাটীতে নামিয়ে দিয়ে শাসন করার ভাবে তার দিকে একটা আঙুল তুলে ধরলাম। তারপর আলেকজেণ্ডারের সঙ্গে অন্য বিষয় নিয়ে অনেক আলােচনা হলাে, আমার নানা রকম পরিকল্পনা সম্বন্ধে, থােকার ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে। অবশ্য থােকাকে তার বাবার সঙ্গে জড়িয়ে কোন কথাই বলিনি আমি। এতক্ষণ ধরে মাথা নীচু করে চুপ করে বসেছিল সে-বুটের মাথা দুটো এমন ভাবে নাড়াচাড়া করছিল যেন কোন একটা বিষয় নিয়ে খুবই বিপর্যস্ত। মাঝে মাঝে ঠোটও কামড়াচ্ছিল। “সে যাই হােক ওর সঙ্গে আমার একটা সম্পর্ক ত আছে অন্তত ?” সে বললাে। মাথাটা তার তখনও সামনের দিকেই ঝোঁকানাে। “আছে হয়ত কিন্তু খুবই সামান্য”—আমি উত্তর দিলাম, “এমন কিছু সম্বন্ধ নয় যা জানতে পেলে খুশি হবে ও।”