পাতা:অন্‌ দি ভল্‌গা.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০৮ অন্ দি ভলগা কথাটা শুনেই কেমন যেন লজ্জিত হয়ে পড়ল সে। শুকননা গলায় প্রশ্ন করল : “তাহলে কবে যাচ্ছ তােমার নতুন ••••••তােমার নতুন কাজে ?” “দিন পনেরাের মধ্যেই হয়তােবাডচেরী যখন ফুটতে শুরু করবে, হাসতে হাসতে জবাব দিলাম। তার শরীরটা কেমন যেন একটু কেঁপে উঠল। আমি কি ভেবে কথাটা বললাম সে যেন ঠিক বুঝে উঠতে পারল না। “তােমার ঠিকানাটা আমায় দেবে বােধ হয়?” কথাটা বলেই বুটের মাথা দিয়ে মাটী খুডতে খুঁডতে সে আমার উত্তরের অপেক্ষায় বসে বইল। আমি তৎক্ষণাৎ কোন জবাব দিলাম না। একেবারে দৃষ্টির বাইরে চলে না যাও এইটুকুই মাত্র আমি চাই”-“তাড়াতাড়ি করে শেষের কথাটাকে সে যােগ করে দিল। আমার দ্বিধাকে অস্বীকৃতি বলে ধরে নিয়ে সে রীতিমত লজ্জিত হয়ে পড়েছিল। “না না তা কেন হবে?” আমি উত্তর দিলাম। তাকে তক্ষুনি ট্রেন ধরতে হবে, সুতরাং আমরা পরস্পরের কাছ থেকে বিদায় নিলাম। বিদায়ের সময় সত্যি অকপট ভাবে তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছিলাম। কিন্তু কোনও কারণে, তার সঙ্গে দেখা হবে কি না জিজ্ঞাসা করিনি। আমার হাতখানা নিজের হাতের মধ্যে টেনে নিয়ে সে অনেকক্ষণ আমার চোখের দিকে তাকিয়ে রইল-প্রথমে একটা তারপর দুটো চোখের দিকেই। প্রীতিপূর্ণ হাসি ছাড়া আরও কিছু যেন সে আবিষ্কার করতে চাচ্ছিল সেখান থেকে। শেষ পর্যন্ত বেশ জোরেই সে আমার হাতটার উপর একটা চাপ দিল- পুরুষের মতাে করেই। তারপর নীরবে ধীরে ধীরে চলে গেল সে আমার কাছ থেকে একবারও পিছনে ফিরে তাকাল না। আমিও বাড়ী ফিরে এলাম।