পাতা:অন্‌ দি ভল্‌গা.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্ দি ভলগা ১১১ নেই। হাত পা নেড়ে জয়ের উল্লাসে আর সবাইকে সে হার মানিয়ে দেয়। লেনা লক্ষ্য করেছে ভিক্টরের দৃষ্টি সারাটা সন্ধ্যা তার অনুসরণ করে ফিরেছে। কিন্তু বুঝেও না বােঝার ভান করে সে তার দৃষ্টি এড়িয়ে চলেছে। ইচ্ছা করেই সে তাকে বুঝতে দিচ্ছিল যে, গ্রহলস্কিকে নিয়েই সে ব্যস্ত। এমন কি সভার মধ্য থেকে গ্রহলস্কির হাত ধরে টেনে একরকম দৌড়েই সে তাকে করিডরের দিকে নিয়ে গেল। তার আকস্মিক আকর্ষণে আর একটু হলেই অন্যের পা ঠেকে হেঁচট খেয়েছিল আর কি গ্রহলস্কি। একটু পরেই ভেসে এল করিডর থেকে অনেকক্ষণ স্থায়ী একটা হাসির স্রোত—নিজের সুখের আতিশয্য অন্যকে জানাতে মেয়েরা যেমন করে হাসে। নিজের বিমর্ষতা, ভালবাসা আর ঈর্ষা দিয়ে অন্যের আনন্দকে বিস্বাদ করে তােলে না যারা তাদের কতখানি ভালবাসে লেনা এই কথাটাই যেন জানাতে চাচ্ছিল সে সেই হাসির মধ্য দিয়ে। একটু পরেই হাসি থামল। তারপর কিছুক্ষণের জন্য কোন সাড়াশব্দ নেই। উপস্থিত সকলেই মাঝে মাঝে বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিল ভিক্টরের দিকে। তাদের দৃষ্টি এড়াতে সে পাংশু মুখে টেবিল-ক্লথের ঝালর নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করল। ‘স্বামীর খোঁজ খবর নাও'-কে একজন বলে উঠল লিজাকে। অজস্র হাসির টুকরো ছড়িয়ে পড়ল ঘরময়। ‘সে নিয়ে তােমায় চিন্তা করতে হবে না। আমাদের ব্যাপার আমরা ভাল জানি।'—উত্তর দিল লিজা। এই ত কথার মত কথা। তা নইলে আর আধুনিকা কেন? কথাটা আর অগ্রসর হল না বটে কিন্তু সবাই কেমন যেন একটা উত্তেজনা অনুভব করছিল মনে। লেনা আর গ্রহলস্কির অনুপস্থিতির সময়টা ক্রমশঃই দীর্ঘ হয়ে পড়ছিল।