পাতা:অন্‌ দি ভল্‌গা.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন, ১১৮ দি ভলগা ‘আবার সেই পুরনাে কাহিনী’, অসহ্ন বিরক্তিতে খেকিয়ে উঠল লেনা। ‘ধতদুর স্পষ্ট করে বলা সম্ভব বলেছি—তােমাকে আমি চাই না—ভালবাসি তােমাকে। আমার সর্ত মেনে নেয়ার ক্ষমতা নেই তােমার। “কেন?”—পথের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করল ভিক্টর। তার গলা বন্ধ হয়ে আসতে চাচ্ছিল। এই লােকটার উপর ভয়ানক বিতৃষ্ণা বােধ করছিল লেন। কথায় কথায় কৈফিয়ৎ দাবী, যার কোন ব্যাখ্যা চলে না এমন সব কথার উত্তর চাই। সে ত দাসখত লিখে দেয়নি তাকে। এ অন্যায় আব্দার কেন ? বিরক্তিতে, —রাগে অনেক রূঢ় কথা বলে ফেলল সে। ‘যে হেতু তুমি আমার স্বাধীনতার পথে বিঘ্ন--আমার পিছনে পিছনে সব সময় অনুসরণ করতােমাকে এড়িয়ে একটি পাও ফেলবার উপায় নেই আমার•••যেহেতু তুমি মানুষ হিসাবে... আমার চোখে বিরক্তিকর••এখন বুঝলে কেন ? সকলের শেষে বলল লেনা। ভিক্টর থমকে দাড়িয়ে পড়ল। ধীরে ধীরে তার মুখের রং কাগজের মত সাদা হয়ে গেল ; তারা তখন একটা পুলের উপর এসে দাড়িয়েছে—ভিক্টরের দৃষ্টি নদীর দিকে প্রসারিত, লেনা দাঁড়িয়ে আছে নদীর দিকে পিছন দিয়ে। ‘তাহলে এই শেষ কথা ?'—বেশ শান্ত ভাবেই প্রশ্ন করল ভিক্টর। ‘তােমার কাছে এখনাে পরিষ্কার হয়নি বুঝি কথাগুলাে? ভিক্টর নীরবে তাকাল তার দিকে। লেনার চোখে তার প্রতি ঘৃণার আভাস স্পষ্ট। কেমন যেন একটা বােঝার মত ভার বােধ করছিল সে বুকের মধ্যে। তার মাথায় ঝড় চলেছে। লেনার ঘৃণাপূর্ণ চোখ দুটোর দিকে সে তাকিয়ে রইল খানিকক্ষণ। ইচ্ছা হচ্ছিল ওই চোখ দুটোকে নিভিয়ে দেয় সে-আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করে দেয় লেনার মুখটাকে। সহ করবার ক্ষমতা তার লুপ্ত।