পাতা:অন্‌ দি ভল্‌গা.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 অনাদি ভলগা বায়। ঘরের জানালায় এসেও সেই রঙীন আলোর ছোয়াচ লাগে -বুঝিবা দূরের ঐ পাইন বনের শাখায়ও। দরজার পিছন থেকে একটা বন্দুক কুড়িয়ে নিয়ে বনের পথে বেরিয়ে “পড়ি । এপ্রিলের বাতাস বসন্তের ছোয়াচ লেগে মন্দির হয়ে উঠেছে। ঢালু। জায়গাগুলো থেকে বরফ এখনও গলে শেষ হয়ে যায়নি। ছোট্ট নদীর মৃত্যু কল্লোল বেশ স্পষ্ট করেই শোনা যায়। একটা বুড়ো বাচ গাছের গায়ে বন্দুকটা ঠেকিয়ে রাখি। ওখান থেকেই “পথটা বনের মধ্যে গিয়ে পড়েছে। একটা শুকনো গাছের গুড়ির উপর আন-মন হয়ে বসে পড়ি। বনের ওপারে সুর্যটা অনেকখানি নেমে এসেছে। পত্রহীন পপলার গাছের মাথায় লেগে অনেকগুলো সূর্যরশ্মি নীচেকার ঐ ঝরণাটার বুকে এসে ঠিকরে পড়ে। বরফের চাপ গলে গলে ঐ ছোট্ট ঝরণার সৃষ্টি । বুকের কাছে জামার নীচে একটা কাগজের খসি খসি শব্দ। ছোট্ট এই কাগজটুকু চিঠি হয়ে সেদিন আমার কাছে এসেছিল। পকেটে ফেলে রেখেছি তাই আজও ওটা সেখানে রয়েছে। জামার চাপ লেগে লেগে খামটা ইতিমধ্যেই অনেকটা মুচড়ে গেছে। চিঠি- এমনি ধারা চিঠি হয়ত জীবনে আর একটাও মিলবে না। বসন্তের নিন্তব্ধতায় পুরনো পথের বুক বেয়ে কি যেন একটা সম্ভাবনার ‘স্বপ্ন ভেসে আসে। অজানা বেদনার ছোয়াচ লেগে মন কেমন যেন ভারি হয়ে ওঠে। প্রত্যেকটা শব্দ আজ আমার কাছে অর্থময়। কান পেতে বসে আছি। মনে হচ্ছে না-জানি কিসের প্রতীক্ষায় সময় আমার বয়ে চলেছে। বনের মধ্য থেকে একটা পাখী হঠাৎ চীৎকার করে ডেকে উঠল। ভিজে মাটীর গন্ধে বাতাস ভরি হয়ে উঠেছে। উইলো গাছের ফুল থেকে