পাতা:অন্‌ দি ভল্‌গা.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন দি ভলগা - ܘܓ একটা মুহুৰ্তও এসেছিল--একথা ভাবতেও কত সুখ। স্মৃতি আছে, মানুষ তাই বেঁচে থাকে। বিস্ময়বিমুগ্ধ হয়ে ওর কথাগুলো শুনলাম। বুকে তপন আমার উত্তেজনার ঝড দুলছে। ‘নূতন বন্ধুর কাছ থেকে কিছুই কি পাও নি ? প্রশ্ন করেই একটু অপ্রতিভা হয়ে গেলাম। উত্তর এল-‘হঁ্যা পেয়েছি, কিন্তু তৃপ্তি পাইনি। বেঁচে থাকার পক্ষে যেটুকু প্রয়োজন সে আমায় শুধু তাই দিয়েছে। তার বেশী নয়। তার দানে শরীরের তৃপ্তি আছে, হৃদয়ের নেই। তুমি আমায় স্বর্গের আভাস দিয়েছ । মানুষের হৃদয় যা চায় তোমার কাছ থেকে আমি তাই পেয়েছি।” -আবেগের ধাক্কায় ওর শেষের কথাগুলো অস্পষ্ট হয়ে উঠল। চোখের জল চাপিতে গিয়ে এবার সত্যি ও কেঁদে ফেলল । ওর আনত চিবুক ধরে সত্ত্বনা দিলাম। আঙুলগুলোর ডগায় ভারি মিষ্টি একটা স্পশ লাগিল । ‘আগেও তোমাকে পেয়েছি। কিন্তু তৃপ্তি পাইনি। আর দশ জনের মত তুমিও ছিলে সেদিন বিশেষত্বহীন। কিন্তু আজ-আজ তোমার দৃষ্টিতে এক নূতন জীবনের আভাস পাচ্ছি। এই মুহূর্তে যে-কোন নারী তোমায় তার সব কিছু দিতে পারে।” কথাগুলো মনটাকে ভারি চঞ্চল করে তুলল। ও চায় বুকভরা জীবন আর প্রেম । বেঁচে থাকার মধ্যে ওর তৃপ্তি হারিয়ে গেছে । “সেদিনের ঝড়ের কথা মনে পড়ে ??-প্রশ্ন করল । স্থ্যা পড়ে। বেশ স্পষ্ট করেই সেই ঝড়ের কথা মনে পড়ে। তোমার সেই বৃষ্টি-ভেজা হাতের গন্ধাটুকু পর্যন্ত আজও আমার মনে পড়ে। আটই মে সেদিন। আজ থেকে ঠিক তিন বছর আগের কথা।”