পাতা:অন্‌ দি ভল্‌গা.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনাদি ভলগা ܘܓ আসত। সে জানতেও পারেনি কোন দিন কোথায় আমার দারিদ্র্য । তার আলিঙ্গনে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছি-একটুও আপত্তি করিনি। আমার দেহ নিয়েই সে তৃপ্ত। সেদিন তোমায় দেখে কতখানি ভালবেসেছিলাম তোমায় আর তা বলব না। তোমার দৃষ্টিতে সে কি ব্যাকুলত। কেবল ব্যাকুলত নয়, প্রেমও। আমার সমস্ত প্রাণ সে দৃষ্টির কাছে নত হয়ে গেছে। সেদিন সত্যি তোমার পানে প্রাণ আমার উন্মুখ হয়ে উঠেছিল। মানুষের জীবনে আনন্দ আসে, কিন্তু খুবই ক্ষণিকের জন্য। তারপর ব্যথা আর বেদনা, প্রতীক্ষার অশ্রু। সুন্দরের প্রতীক্ষায় হৃদয়ের সে কি ? আকুতি! আনন্দ কারো ভাগ্যে চিরস্থায়ী নয়। মনকে প্রশ্ন করেছি-‘জীবনের পথে যাকে চাই ? দুর্লভ আনন্দ যে দিল তাকে, না যাকে আশ্রয় করে চলবে নিশ্চিন্ত জীবনযাত্রা, তাকে ? কেবল প্রশ্নই করিনি, সমাধানও করেছি।’• • • হঠাৎ বুক ভরে কান্না উথলে উঠল। ঝাপসা চোখে চিঠিখানার কিছুই দেখছিলাম না। আঙুলের ডগাগুলো পর্যন্ত আমার সাদা হয়ে উঠেছে। গাছের গুড়িটা শক্ত করে চেপে ধরলাম। নিজেকে যেন স্থির রাখতে পারলাম না। কোনমতে চিঠিখান শেষ করলাম। নিঃশ্বাস রুদ্ধ হয়ে আসছিল• • • “বন্ধু। শেষপর্যন্ত নিশ্চিন্ততাকেই বেছে নিলাম। বেঁচে থাকা আমার ਜਿਚ ਦਸ | সেদিন তোমায় যে চুম্বন দিয়েছিলাম সেই আমার শেষ চুম্বন। বুনো ফুলের গন্ধে ভরা ঝড়ের মধ্যে যে জীবনের সূত্রপাত ঐ চুম্বনের মধ্যেই ছিল তার সমাপ্তি।”