পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO s অপরাজিত: অপর লক্ষজা হইল। সে সকালে সরকারদের ঘরে বসিয়া খাইয়া সন্ধুলে যায়শধ ডাল-ভাত,-তাও শ্রীকণ্ঠ ঠাকুর বেগার-শোধ ভাবে দিয়া যায়, খাইয়া পেট ভরে না, স্কুলেই ক্ষুধা পায়, সেখান হইতে ফিরিয়া মায়ের পাতে ভাত ঢাকা থাকে, বেকালে তাহাই খায়। আজ ছটির দিন বলিয়া সকালেই মায়ের পাতে খাইতে বসিয়াছে । 始 অপাের ভাল করিয়া উত্তর দিতে পারিল না বটে, কিন্তু লীলা ব্যাপারটা কতক না ববিল এমন নহে। ঘুরের হীন আসবাব-পত্র, অপর হীন বেশ-আবেলায় নিরপেকরণ দটি ভাত সঁচাহে খাওয়া-লীলার কেমন যেন মনে বড় বিধিল । সে কোন কথা বলল না । অপ বলিল, তোমার সব বই এনোচ এখেনে ? দেখাতে হবে। আমাকে । ভাল গল্প কি ছবির বই নেই ? লীলা বলিল, তোমার জন্যে কিনে এনেচি আসিবার সময় । তুমি গল্পের বই ভালোবাসো বলে একখানা 'সাগরের কথা” এনেচি, আরও দু-তিনখানা এনেচি । আনিচি, তুমি খেয়ে ওঠে । অপাের খাওয়া প্রায় শেষ হইয়াছিল, খাশিতে বাকীটা কোনো রকমে শেষ করিয়া উঠিয়া পড়িল । লীলা’ লক্ষ্য করিয়া দেখিল, সে পাতের সবটা এমন করিয়া খাইয়াছে, পাতে একটা দানাও পড়িয়া নাই। সঙ্গে সঙ্গে তাহার উপর লীলার কেমন একটা অপােব মনের ভাব হইল,--আিস ধরণের অনভূতি লীলার জীবনে এই প্রথম, আর কাহারও সম্পকে সে ধরণের কিছ তো কখনও হয় নাই । একটু পরে লীলা অনেক বই আনিল । অপর মনে হইল, লীলা কেমন করিয়া তাহার মনের কথাটি জানিয়া, সে যাহা পড়িতে জানিতে ভালবাসে সেই ধরণের বইগলি আনিয়াছে। 'সাগরের কথা বইখানাতে অদভুত অদ্ভুত গলপ । সাগরের তলায় বড় বড় পাহাড় আছে, আগ্নেয়গিরি আছে, প্রবাল নামক এক প্রকার প্রাণী আছে, দেখিতে গাছপালার মত।-কোথায় এক মহাদেশ নাকি সমদ্রের গভেদ ডুবিয়া আছে-এই সব । লীলা একখানা পরাতন খাত। দেখাইল । তাহার ঝোঁক ছবি আকিবার দিকে ; বলিল-সেই তোমায় একবার ফুলগাছ একে দেখতে দিলাম। মনে আছে ? তারপর কত একেচি দেখবো ? অপর মনে হইল। লীলার হাতের আঁকা আগের চেয়ে এখন ভাল হইয়াছে। সে নিজে একটা রেখা কখনো সোজা করিয়া টানিতে পারে না-ড্রইংগলি দেখিতে, দেখিতে লীলার দিকে চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিল, বেশ একেচো তো । তোমাদের ইস্কুলে করায়, না এমটি অীকো ? এতক্ষণ পরে অপর মনে পড়িল লীলা কোন স্কুলে পড়ে, কোন ক্লাসে পড়ে। সে কথা কিছই জিজ্ঞাসা করা হয় নাই ! বলি-তোমাদের কি ইস্কুল ? এবার কোন ক্লাসে পড়চো ? -এবার মাইনর সেকেন্ড ক্লাসে উঠোঁচ-গিরীন্দ্রমোহিনী গাল’স স্কুলআমাদের বাড়ির পাশেই