পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSG আমোদ দিবার এটা একটা প্রকৃষ্ট পন্থা। কমলালেব, দেখাইয়া বলে কত সম্ভায় কলকাতায় জিনিসপত্র পাওয়া যায় দ্য খো-লোবাগলো দশপয়সা প্রকৃতপক্ষে লেব-কাটির দাম ছ'আনা । সর্বজয়া আগ্রহের সহিত বলিল-দেখি? ওমা; এখানে যে উগলোর দাম বারো আনার কম নয়-এখানে সব ডাকাত । চার পয়সার এক তাড়া পান দেখাইয়া বলিল-বৈঠকখানা বাজার থেকে দ’ পয়সায়-দ্যাখো মা-- সবােজয়া ভাবে-এবার ছেলের সংসারী হইবার দিকে মন গিয়াছে, হিসাব করিয়া সে চলিতে শিখিয়াছে । অপর ইচ্ছা করিয়াই লীলার সঙ্গে সাক্ষাতের কথাটা উঠায় না। ভাবে, মা মনে মনে দারাশা পোষণ করে, হয়ত এখনি বলিয়া বসিবে - লীলার সঙ্গে তোর বিয়ে হয় না ?- দরকার কি, অসস্থি মায়ের মনে সে-সব দনরাশার ঢেউ তুলিয়া ? *, এমন সব কথা কখনও অপর মায়ের সামনে বলে না, যাহা কিনা, মা বঝিবে না । জগৎ সংসারটাকে মায়ের সীমাবদ্ধ জ্ঞানের উপযোগী করিয়াই সে মায়ের সম্মখে উপস্থিত করে। দিন-তিনেক সে বাড়ি রহিল। রোজ দাপরে জানলার ধারের বিছানাটিতে সবজিয়া শ্যইয়া থাকে, পাশে সে বসিয়া নানা গল্প করে। ক্রমে বেলা যায়, রোদ প্রথমে ওঠে রান্নাঘরের চালায়, পরে বেড়ার ধারের BBDBBD BDDD EDDS BDB DBDDDDuOB DBD S SzB BBD DBBDYS বৈকালের ঘন ছায়ায় অপর মনে আবার একটা বিপােল নিজনিতা ও সঙ্গহীনতার ভাব আনে- গত গ্রীলোেমর ছটির দিনের মত । সবজিয়া হাসিয়া বলে-পাশটা হ’লে এবার তোর বিয়ের ঠিক করেছি। এক জায়গায় । মেয়ের দিদিমা এসেছিল। এখানে, বেশ লোক ঘরের কোণে একটা তাকে সংসারের জিনিসপত্র সর্বজয়া রাখিয়া দেয়- একটা হাঁড়িতে আমসত্তৰ, একটা পাত্রে আচার । অপর চিরকালের অভ্যাস অনসারে মাঝে মাঝে ভাঁড় হাঁড়ি খাজিয়া-পাতিয়া মাকে লঙ্কাইয়া এটা-ওটা চুরি করিয়া খায়। এ কয়দিনও খাইয়াছে। সবজিয়া বিছানায় চোখ বজিয়া শ্যইয়া থাকে, টের পায় না। --সেদিন দাপরে অপর জানালাটার কাছে দাঁড়াইয়া আছে-গায়ে মায়ের গামছাখানা । হঠাৎ সবজিয়া চোখ চাহিয়া বলিল-আমার গামছাখানা আবার পিষচো কেন ?-ওখানা তিলে বড়ি দেবো ব'লে রেখে দিইচি-কুন্ডুদের বাড়ির গামছা ওখানা, ভারি টনকো-আর সরে সরে তােকাটার ঘাড়ে যােচ্ছ কেন ?-- ছ সনে তাক--তুমি এমন দন্টু হয়েচো, বাসি কাপড়ে ছয়েছিলে তাকটা ? কথাটা অপাের বকে কেমন বিধিল-মা সেরে উঠে তিলে বড়ি দেবে ? তা দিয়েছে! মা আর উঠছে না-হঠাৎ তাহার মনে হইল, এই সেদিনও তো সে তাক হইতে আমসত্তৰ চুরি করিয়াছে’, ‘মা, অসহায় মা বিছানায় জবারের ঘোরে পড়িয়া ছিল ‘একুশ বৎসর ধরিয়া মায়ের যে শাসন চলিয়াছিল আজ তােহা শিথিল হইয়া পড়িতেছে, দর্বল হইয়া পড়িতেছে, নিজের অধিকার আর বোধ হয় প্রতিষ্ঠিত করিতে পরিবে না। কখনও • • • t