পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wreiriaduras SOS পথের ধারের আমগাছে তাহদের পাটুলিবাঁধা ছাতু কবে ফুরাইয়া গেল, সমাধ্যায় ঘোড়ার হাট হইতে ঘোড়া কিনিয়া আনিয়া পল্লীর মধ্যবিত্ত ভদ্রলোকের ছেলে তাহার মায়ের মনে কোথায় আনেন্দর ঢেউ তুলিয়াছিল-হু'হাজুর বছরের ইতিহাসে সে-সব কথা লেখা নাই-আথাকিলেও বড় কম-রাজা যযাতিক সম্রাট অশোকের শািন্ধ রাজনৈতিক জীবনের গল্প সবাই শৈশব হইতে মখস্থ করে---কিন্তু ভারতবর্ষের, গ্রীসের, রোমের যব, গম ক্ষেতের ধারে, ওলিভ, বন্যদ্রাক্ষা, মাির্টলা ঝোপের ছায়ায় ছায়ায় যে প্রতিদিনের জীবন, হাজার হাজার বছর ধরিয়া প্রতি সকলে সন্ধ্যায় যাপিত হইয়াছে—তাহাদের সখে-দঃখ আশানুরাশার গল্প, তাহাদের। বকের সম্পাদনের ইতিহাস সে জানিতে চায় । কেবল মাঝে মাঝে এখানে ওখানে ঐতিহাসিকদের লেখা পাতায় সম্মিলিত সৈন্যব্যহের এই আড়ালটা সরিয়া যায়, সারি বাঁধা বাশার অরণ্যের ফাঁকে দর অতীতের এক ক্ষমাদ্র গহন্থের ছোট বাড়ি নজরে আসে। অজ্ঞাতনামা কোন লৈখকের জীবন-কথা, কি কালের স্লোতে কুলো-লাগা এক টুকরা পত্র, প্রাচীন মিশরের কোন কৃষক পত্রিকে শস্য কাটিবার কি আয়োজন করিতে লিখিয়াছিল,- বহু হাজার বছর পর তাহদের টুকরা ভুগভে প্রোথিত মন্ময়-পাত্রের মত দিনের আলোয় বাহির হইয়া আসে । কিন্তু আরও ঘনিষ্ঠ ধরণের, আরও তুচ্ছ জিনিসের ইতিহাস চায় সে । মানষি মানষের বকের কথা জানিতে চায় । আজ যা তুচ্ছ, হাজার বছর পরে তা মহাসম্পদ। ভবিষ্যতের সত্যকার ইতিহাস হইবে এই কাহিনী, মানষের মনের ইতিহাস, তার প্রাণের ইতিহাস । আর একটা দিক তাহার চোখে পড়ে । একটা জিনিস বেশ সম্পন্ট হইয়া উঠে তাহার কাছে-মহাকালের এই মিছিলু । বাইজা’টাইন সাম্রাজ্যের ইতিহাস গিবন ভ্রমশন্য লিখিয়াছেন, কি অন্য কেহ ভ্রমশন্য লিখিয়াছেন, এ বিষয়ে তাহার তত কৌতুহল নাই, সে শািন্ধ কৌতুহলাক্কান্ত মহাকালের এই বিরাট মিছিলে। হাজার যােগ আগেকার কত রাজা, রাণী, সম্রাট, মন্ত্রী, খোজা, সেনাপতি, বালক, যােবা, কত অশ্রনয়না তরণী, কত অথলিপস, রাজপরিষ-যাহারা অর্থের জন্য অন্তরঙ্গ বন্ধীর গঙ্গত কথা প্রকাশ করিয়া তাহকে ঘাতকের কুঠারের মখে নিক্ষেপ করিতে দ্বিধা বোধ করে নাই-অনন্ত কালসমদ্রে ইহাদের ভাসিয়া যাওয়ার, বদ্বীদের মত মিলাইয়া যাওয়ার দিকটা । কোথায় তাহদের ব্যথা শ্রমের পরিস্কার, তাহাদের অথলিশ সারা সার্থকতা ? এদিকে ছাটাছটিই সার হইতেছে-কাজে কিছুই হয় না। সে তো চায় না। বড়মানষে হইতে-খাওয়া-পরা চলিয়া গেলেই সে খাশী-পড়াশনা করার সে সময় পায় ও নিশ্চিন্ত হইতে পারে। কিন্তু তাও তো হয় না, টুইশানি না। থাকিলে একবেলা আহারও জটিত না যে । তা ছাড়া এ সব জায়গার আবহাওয়াই তাহার ভাল লাগে না আদৌ । চারিধারে অত্যন্ত হশিয়ারী, দর-কষাকষি,*** -শাধ টাকা” – “টাকা” – “টাকা সংক্রান্ত কথাবাতা-লোকজনের মাখে ও চোখের,