পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরাজিত হঠাৎ কি একটা শব্দে বধ পিছন ফিরিয়া চাহিয়া ভয়ে ধড়মড় করিয়া উঠিবার চেষ্টা कrऊ अ४. दृश tश कब्रिक्षा शनिक्षा ऐंठेलि। বধ অপ্রতিভের সরে বলিল-ওমা তুমি ! কখন-কৈ-তোমার তোঅপাৰ হাসিতে হাসিতে বলিল-কেমন জব্দ ! আচ্ছা তো ভীতু ! বধ, ততক্ষণে সামলাইয়া লইয়া হাসি মাখে বলিল-বা রে, ওই রকম ক’রে বঝি আচমকা ভয় দেখাতে আছে ? ক’টার গাড়িতে এলে এখন—তাই বঞ্চি আজ ছ-সাত দিন চিঠি দেওয়া হয় নি - আমি ভাবছি। -- অপ বলিল-তারপর, তুমি কি রকম আছ, বল ? মায়ের চিঠিপত্র পেয়েছে : --তুমি কিন্তু রোগ হয়ে গিয়েছি, অসখি-বিসখি হয়েছিল বঝি ? —আমার এবারকার চিঠির কাগজটা কেমন ? ভালো না ? তোমার জন্যে এনেছি পচিশখানা । তারপর রাত্রে কি খাওয়াবে বল ? - কি খাবে বলো ? ঘি এনে রেখেছি, আলিপটলের ডালনা করি।--আর দধি আছে পরদিন সকালে উঠিয়া অপ দেখিয়া অবাক হইল, বাড়ির পিছনের উঠানে অপণা ছোট ছোট বেড়া দিয়া শাকের ক্ষেত, বেগনের ক্ষেত করিয়াছে । দাওয়ার ধীরে ধীরে গাঁদার চারা বসাইয়াছে । রান্নাঘরের চালায় পাইলতা, লাউলতা উঠাইয়া দিয়াছে। দেখাইয়া বলিল,-আজি পাই-শাক খাওয়াব আমার গাছের ! ওই দোপাটীগালো দাখ : কত বড়, না ? নিরপোমা দিদি। বীজ দিয়েছেন । আর একটা জিনিস দ্যাখো নি ? এসো দেখাব অপাের। সারা শরীরে একটা আনন্দের শিহরণ বহিল । অপণা যেন তাহার মনের গোপন কথাটি জানিয়া বঞ্চিয়ই কোথা হইতে একটা ছোট চাঁপা গাছের ডাল আনিয়া মাটিতে পতিয়াছে, দেখাইয়া বলিল-দ্যাখো কেমন-হবে না। (43|N ? -হবে না। আর কেন ? আচ্ছা, এত ফুল থাকতে চাঁপা ফুলের ডাল যে পাততে গেলে ? অপণা সলঙ্গজমেখে বলিল-জানি নৌ-যাও ! অপ তো লেখে নাই, পত্রে তো এ কথা অপণাকে জানায় নাই যে, মিত্তির বাড়ির কােপাউন্ডের চাঁপা ফুল গাছটা তাহাকে কি কািটই না। দিয়াছে এই দ'মাস ! চাঁপা ফুল যে হঠাৎ তাহার এত প্রিয় হইয়া উঠিয়াছে, এ কথাটি মনে মনে মনমান করিবার জন্য এই কমব্যস্ত, সদা-হাসিন্মখ মেয়েটির উপর তাহার মন কতজ্ঞতায় ভরিয়া উঠিল । অপণা বলিল-এখানে একটু বেড়া দিয়ে ঘিরে দেৱে ঐ মাগো, কি ছাগলের উৎপােতই তোমাদের দেশে ! চারাগাছ থাকতে দেয় না, রোজ, খেয়েদেয়ে সারা দ পাের কঞ্চি হাতে দাওয়ায় বসে ছাগল তাড়াই আর বই পড়ি -দীপরে রোজ নিরদি আসেন, ও-বাড়ির মেয়েরা আসে, ভারী ভাল মেয়ে কিত নিরদিদি । আজ সারাদিন ছিল বিষ । সন্ধার পর একটানা বলিষ্ট নামিয়াছে, হয়ত