পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AO uNurs হাতুড়ে ডাক্তার, যে ভাবে ওকালতি পাস করিয়া রাসবিহারী ঘোষ হইবে, তাহাকে হইতে হয় কয়লার দোকানী, যাহার। আশা থাকে। সারা পথিবী ঘরিয়া দেখিয়া বেড়াইবে, কি দ্বিতীয় কলােবস হইবে, তাহাকে হইতে হয় চল্লিশ টাকা বেতনের সকুলমাস্টার। শতকরা নিরানব্বই জনের বেলা যা হয়, অপর বেলাও তাহার ব্যতিক্রম হয়। নাই। যথানিয়মে সংসারা-যাত্রা, গহস্থালী, কেরানগিরি, ভাড়া বাড়ি, মেলিনস, ফুড ও অয়েল ক্লথ। তবে তাহার শেষোক্ত দটির এখনও আবশ্যক হয় নাইএই যা। 鲍 অপণা ঘরের দোরের কাছে বটি পাতিয়া কুটনা। কুটিতেছে, স্বামীকে দেখিয়া বলিল-আজ এত সকাল সকাল যে ! তারপর সে বাটখানা ও তারকারীর চুপড়ি একপাশে সরাইয়া রাখিয়া উঠিয়া দাঁড়াইল । অপর বলিল, খাব সকাল আর কৈ, সাতটা বেজেছে, তবে অন্যদিনের তুলনায় সকাল বটে। হ্যাঁ, তেলওয়ালা আর स्वान भि tठा ? -এসেছিল একবার দােপারে, ব’লে দিয়েছি বধিবারে মাইনে হ’লে আসতে, তোমার আসবার দেরি হবে ভেবে এখনও আমি চায়ের জল চড়াই নি । কলের কাছে অন্য ভাড়াটেদের কি-বৌয়েরা এ সময় থাকে বলিয়া অপর্ণা স্বামীর হাত-মািখ ধাইবার জল বারান্দার কোণে তুলিয়া রাখে। অপ, মািখ ধাইতে গিয়া বলিল, রজনীগন্ধা গাছটা হেলে পড়েছে কেন বল তো ? একটু বোধে fire I চা খাইতে বসিয়াছে, এমন সময়ে কলের কাছে কোন প্রৌঢ়া-কাঠের ককাশ আওয়াজ শোনা গেল-তা হলে বাপ একশো টাকা বাড়িভাড়া দিয়ে সায়েবপাড়ায় থাকো গে । আজ আমার মাথা ধরেছে, কাল আমার ছেলের সাদি লেগেছেপালার দিন হলেই যত ছতো । নাও না, সারা ওপরটাই তোমরা ভাড়া নাও না ; দাও না পয়ষট্টিী টাকা-আমরা না হয়। আর কোথাও উঠে যাই, রোজ রোজ হাঙ্গামা কে সহ্যি করে বাপ ! অপ বলিল-আবার বঝি আজ বেধেছে। গাঙ্গালী-গিনীর সঙ্গে ? অপণা বলিল-নতুন ক'রে বাধবে কি, বেধেই তো আছে। গাঙ্গালীগিাষীরও মাখ বড় খারাপ, হালদারদের বৌটা ছেলেমানষে, কোলের মেয়ে নিয়ে পেরে ওঠে না, সংসারে তো আর মানষে নেই, ওব ও আমি এক একদিন গিয়ে বাটনা বেটে দিয়ে আসি। সিড়ি ও রোয়ােক ধাইবার পালা লইয়া উপরের ভাড়াটেদের মধ্যে এ রেষারেষি, দ্বন্দ্ব-আপ আসিয়া অবধি এই এক বৎসরের মধ্যে মিটিল না । সকলের অপেক্ষা তাহার খারাপ লাগে ইহাদের এই সঙ্কীণতা, অনদারতা । কট কটা করিয়া শক্ত কথা শনাইয়া দেয়-বাঁচিয়া, বাঁচাইয়া কথা বলে না, কোন কথায় লোকের মতো আঘাত লাগে, সে কথা ভাবিয়াও দেখে না । বাড়িটাতে হাওয়া খেলে না, বারান্দাটাতে বসিলে হয়ত একটু পাওয়া যায়, কিন্তু একটু দরেই ঝাঁঝরি-ড্রেন, সেখানে সারা বাসার তরকারীর খোসা, মাছের