Vurures alf নাচিয়া উঠিল, চারিধারের এই শ্যামলতা, প্রসার, নদীজলের গন্ধের সঙ্গে তাহাব যে নাড়ীর যোগ আছে। কৌতুক দেখিবার জন্য অপর্ণকে লক্ষ্য করিয়া হাসিমখে বলিল-ওগো কলাবোঁ, ঘোমটা খোলো, চেয়ে দ্যাথো, বাপের বাড়ির দ্যাশটা চেয়ে দ্যাখো - মর্যারি হাসিমখে অন্যদিকে মািখ ফিরাইয়া রহিল। অপণা লােজায় আরও জড়সড় হইয়া বসিল । আরও খানিকটা আসিয়া মারারি বলিল - তোমরা যাও, এইখানের হাটে যদি বড় মাছ পাওয়া যায়,* জ্যাঠাইমা কিনতে বলে দিয়েছেন ! এইটুকু হেটে যাব এখন । মারারি নামিয়া গেলে অপণা বলিল -আচ্ছা তুমি কি ? দাদার সামনে ওইরকম ক’রে আমায়-তোমার সেই দল্ট্ৰমি এখনও গেল না ? কি ভাবলে বল তো দাদা ছিঃ । পরে রাগের সরে বলিল - দন্টু কোথাকার, তোমার সঙ্গে আমি আর কোথাও কখখনো যাবো না-কখখনো না, থেকে একলা বাসায় ! -বয়েই গেল ! আমি তোমাকে মাথার দিব্যি দিয়ে সেধেছিলাম। কিনা ! BD DO BDBD DSu OS LO KDS -- তাই খেও । আহা-হা, কি রাষার ছাঁদ, তব যদি আমি না জানতাম ! আল ভাতে, বেগােন ভাতে, সাত রকম তরকারী সব ভাতে-“কি রাঁধানী ! --নিজের দিকে চেয়ে কথা বলো । প্রথম যেদিন খলনার ঘাটে রোধেছিলে, মনে আছে সব আলানি ? -ওমা আমার কি হবে! এত বড় মিথ্যেবাদী তুমি, সব আলীনী ! ওমা আমি কোথায় - --সব । বিলকুল। মায় পটলভাজা পর্যন্ত । অপণা রাগ করিতে গিয়া হাসিয়া ফেলিল,—বলিল-তুমি ভাঙন মাছ খাও নি ? আমাদের এ নোনা গাঙের ভাঙন মাছ ভারী মিলিট । কাল মাকে <क लाभा: 23शाद | -লক্ষজা করবে না। তার বেলায় ? কি বলবে মাকে ও মা, এই আমারঅপণা সবামীর মাখে। হাত চাপা দিয়া বলিল-চুপ।। ঠিক সন্ধ্যার সময় অপণাদের ঘাটে নৌকা লাগিল । দাজনেরই মনে এক অপােব ভাব । শাটিবনের সগন্ধভরা স্নিগ্রধ হেমন্ত-অপরাহ্ তার সবটা কারণ নয়, নদীতীরে ঝািপসি হইয়া থাকা গোলগাছের সবােজ সারিও নয়, কারণ-তােহাঁদের আনন্দ-প্রবণ অনাবিল যৌবন - ব্যগ্র, নবীন, আগ্রহভরা যৌবন । জ্যোৎস্নারাত্রে উপরের ঘরে ফুলশয্যার সেই পালঙ্কে বাতি জৰালিয়া বসিয়া পড়িতে পড়িতে সে অপণার প্রতীক্ষায় থাকে । নারিকেলশাখায় দেবীপক্ষের বকের পালকের মত শত্র চাঁদের আলো পড়ে, বাহিরের রাত্রির দিকে চাহিয়া কত কথা মনে আসে, কত সব পরাতন সমিতি-কোথায় যেন এই ধরণের সব
পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।